বিপরীত বাসনা
কবি অসিত কর্মকার
রাজা হবার সাধ নেই,
দালান ঘরও না,দুবেলা দুমুঠো ভাত,মাটির ঘরে
বাঁশের খুঁটি তার উপরে খড়।
মাতৃ পদপঙ্কজ তলে থেকে
করতে চেয়েছে অতিথি আপ্যায়ন কাসার থালে!
এ ছিলো নির্লোভ সাধকের বাসনা।
যখন মানুষের ভাত-ই জোটে না,তখন
একমাত্র মহাপুরুষেরাই ইচ্ছে প্রকাশ করতে পারে
দুর্মূল্য কাসার থালে অতিথি আপ্যায়নের!
অথচ জ্যান্ত মাতার পদপঙ্কজ তলে আশ্রিত
সাধুদের ইচ্ছে এমন-ই,আপ্যায়ন তো দূরের কথা
ভক্তের কাসার থাল-বাটিই আত্মসাৎ করা!
১৭-০১-২০১৯ ইং
হায় লাগাম
কবি অসিত কর্মকার
লাগাম ছেড়ে চাবুকে ধ্যান দিলে
হয়তো বেড়ে যায় আরও বেশি গতি,ঘোড়া বশ মানে?
চাবুক-ই যে বড় নয়, সওয়ারি কী জানে?
একেকটা সাদামাটা শব্দ ছেড়ে
ওজস্বিতায় ধ্যান দিলে যা হয় কবিতার মানে,তেমনই
এসব কবির মতই ঐসব সওয়ারিও জানে!
যে যা জানে,হয়তো সে তাই মানে
অবশ্য “যার কোনও মানে নেই তারও আছে মানে”কিন্তু
চাবুক-ই যে বড় নয় প্রকৃত সওয়ারি তা জানে।
১৩-০১-২০২০ ইং
মাউস মাড়ানিরা
কবি অসিত কর্মকার
এখন সাদা সাদা কাগজে নিব মাড়ানো কমে গেছে
যারা নিয়মিত নিব মাড়াতো,তারাও দিয়েছে কমিয়ে;
চিত্তনিবিষ্ট তাদেরও এখন কিবোর্ডে কিবোর্ডে,দেখি-
তারাও মাড়াচ্ছে মাউস,তর্জনীও খোঁচাচ্ছে বেশ!
এখন আর নিব না মাড়ালেও চলে
কিবোর্ড মাড়িয়ে জন্মাচ্ছে পদ্য,কিবোর্ডেই গদ্য বেশ
এখন জন্মাচ্ছে মাউস-মাড়ানি সাহিত্যিকও বেশ!
এখন আর নিব-মাড়ানি পণ্ডিত…
আর এখন ইঁয়ে ইঁয়ে ইঁয়ে বা…
২৪-০১-২০২১ ইং
আর চাইবে
কবি অসিত কর্মকার
জংলা চুলেই চাইছো তুমি হলদে গাঁদাফুল
নাহয় অনিচ্ছাতেই দিলাম গেঁথে তোমার খোঁপায়,
ধরো গাঁদাফুলের ভিতর থেকে ফুড়ুক করে বিষমাছিটা
তোমার নাকের ডগায় বিঁধিয়ে দিলো হুল
তখন করবে তুমি কী,কও তো দেখি?
জংলা চুলে চাইবে গাঁদাফুল;
আর চাইবে কখোনো?
২৯-০১-২০২১ ইং
বন্ধুরা
কবি অসিত কর্মকার
তোমরা তো জানোই
নদী পার-পাওয়া মানুষের কাছে
পাটনিরা শালাই হয়-
তবুও তাদের জন্য;
তোমাদের কোমল হৃদয়ের মাঝখানে
প্রেমের আতিশয্য ক্যানো?
২৪-০২-২০২১ ইং