কোন এক পিতার বুকে
… কামরুল হাসান কামু
কোন এক পিতার বুকে
তপ্ত হই;ভাবনার বুননে
সোনালি অক্ষর পোড়ে মাঠে
তপ্ত হই; নুনদুপুর মুখে।
কোন এক পিতার বুকে
নিঃসঙ্গ শরণার্থী হই,কোন রাতে
অনুভবে খুঁজি বাথানের সবুজ
তপ্ত হই ;দৃষ্টিপথ বিষণ্ণচরে।
কোন এক পিতার বুকে
বাঁকা আলপথ হই কোন ভোরে
দোয়েলের ডাক খুয়ে আসে
তপ্ত হই,নির্বাসিত সুখ দেখে।
তবু,সাধ জাগে
কোন এক পিতার বুকে-
দুপুরবেলার বুনোফুল হই
বুকেরঝালরে দূর্বাঘাস হই
একদিন ঠিক তাই হবো তার বুকে।
‘সৌন্দর্যে শূন্যতা’
…. কামরুল হাসান কামু
শোক ও স্তব্ধতার পালক নিয়ে উড়ে যাচ্ছে,
বুকের বাঁ পাশ ছেড়ে গহীন বন-বাঁধুলির পথে,
জোছনার পাখি,বুকের গহীন থেকে সাঁই সাঁই করে উড়ে যাচ্ছে-
আলপথ,জলপথে জোছনা-বিলাসে।
বাঁধনহারা মনপাখি জোছনার ভেতর লুটেলুটে উড়ে যাচ্ছে,বিলের শাপলা-শালুকের জলে,
কিশোরীর কপালের টিপের মতোন জলের আয়নায় ঘন হয়ে আসলে কোজাগরী চাঁদ,
কিলবিলে মাছেদের সংসারেও জাগে পূর্ণিমা-বিলাসের সাধ।
বাঁশপাতাগন্ধা জলের পাশে কী এক মোহ-মায়া ছড়ালে,
স্মৃতিগন্ধে ভরপুর হিজলের তলে,আবার কেনো এসে ডাক দিলে,
কেমন মোহনসুরে ডাকো জলঘেঁষা বাকল-মূলের পরে,
আজ ছেলেহারা মায়ের জন্যে
চোখের ভেতর নলকুপের মুখের মতোন গলগল করে জল ঝরে।
আজ ভাইহারা ভাইয়ের জন্যে,
বুকের ভেতর সুরেলা দোতারা বেসুরে বাজে।
কোজাগরী চাঁদের জলের পরে পূর্ণিমাবাসরে,
আরো একা হও কবি এক নিষ্ঠুর পৃথিবীর পথে।
যাপিত সময়
কামরুল হাসান কামু
সাগুরঙা মেঘ ভাসে জলের দেশে,
অম্বল চোখে
ক্ষীণ হয়ে আসে সেসব বিবর্ণ-মুখ,
সেইরকম কথাকলি নেই সেখানে।
জলের মাঝে মাছ যেমন ঘাই মারে,
আহতশব্দ তেমনি আঁচড়ে পড়ে বুকের পাটাতনে।
দিনরাতে অসুখ পল্লবিত হয়ে আসলে
আজকাল,মৃতমাছের চোখে দেখা যায় তাদের উল্লসিত কনফারেন্স।