সাফিয়া খন্দকার রেখা : আর্থিক ক্ষতি চেষ্টা করলে হয়তোবা সময়ে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হতে পারে। কিন্তু এই অতিমারি কালিন সময়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন এবং হচ্ছেন তা আদৌ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব কি?
একটি অংশের মানুষ মনে করেন জীবন না বাঁচলে শিক্ষা দিয়ে কি হবে! কথা ঠিক কিন্তু জীবনের হুমকি কি কেবলই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে! আগামী প্রজন্ম যাদের হাতে আমাদের দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বৈজ্ঞানিক, সামাজিক পুরোটা ই নির্ভরশীল তারা এখন কেমন আছে কি করে তাদের সময় কাটছে এ খোঁজ রাখার দ্বায়িত্ব পরিবারের সাথে সাথে রাষ্ট্রের।
বর্তমানে যতো কিশোর অপরাধ ঘটছে তা উল্লেখযোগ্য রেকর্ড। গ্রাম ভিত্তিক এ দেশের গ্রাম অঞ্চলের খবর কজন রাখেন? ক্লাস এইট থেকে ক্লাস টেন এ পড়া মেয়েদের বিয়ের হিড়িক পড়েছে গত কয়েক মাসে।
রাষ্ট্রের বুদ্ধিজীবীদের মাথায় কি আসছে না স্বাস্থ্য বিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায়। দুই দিন করে শ্রেণী ভাগ করে ক্লাস নিতে পারে। এবং এটি খুব দ্রুত না করা হলে একটি ভয়াবহ ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
আর হ্যাঁ যে সকল ছাত্রছাত্রী পাশ করে গত দুই বছর বসে আছে তাদের অভিভাবক যদি সামর্থ্য থেকে থাকে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি করে দিন, সেখানে নিয়মিত অনলাইন ক্লাস এবং এসাইনমেন্ট জমা নেয়া হচ্ছে।
আমাদের দেরি হয়ে গেছে ইতোমধ্যে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে বর্তমান প্রজন্মের ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাওয়া থেকে ফিরিয়ে আনুন রাষ্ট্রের কাছে বিনীত অনুরোধ।
লেখক- কবি, শিশু সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, আবৃত্তিশিল্পী ও অভিনয়শিল্পী
মিরপুর, ঢাকা- ৩০.৬.২০২১