আনসোসাল
কামাল খাঁ
ফেলছো কাকা
পানের পিক
দ্বিগ্বিদিক।
খাচ্ছো কলা
ফেলছো ছাল
আন-সোসাল।
খাচ্ছো বাদাম
খাচ্ছো জুস
ফেলছো টুস।
ধরছো খালি
পরের দোষ
নন্দ ঘোষ।
দোষটা তুমি
পরে কও
শুদ্ধ হও!
বেসামাল
কামাল খাঁ
ভাবের সাথে চলে ভাষা
ভাষার চালে ভাব,
কী উপায়ে চলবে লেখা
যেমনটা স্বভাব।
ছন্দ চলে আপন মনে
পর্বে দাড়ায় ক্ষণ,
উপমা আর অনুপ্রাসে
জাগায় অনুরণ।
অনুরণে অনুক্ষণে
পর্ব ফেলে ধাপ,
শুদ্ধছড়াকারের আছে
কানের কাছে মাপ।
ভাবের নদী নৌকা ভাষার
বোঝাই নানান মাল,
ঢেউয়ের তালে উজানে যায়
ছুটছে বেসামাল।
তিনি তখন পান চাবান
কামাল খাঁ
জিগেস করি ও মিয়াভাই –
বেতন-টেতন কত্ত পান?
তিনি তখন মুচকি হাসেন
মিনমিনিয়ে পান চাবান।
বাড়ি-টাড়ি
মুখে দাড়ি
গাঁয়ে বিশাল আম বাগান।
জায়গা-জমি ঢাকায়ও ফ্লাট
মাঝে মাঝে ওমরা যান,
এদিক ওদিক সবমিলিয়ে
নাড়েন মাথা ভালোই পান।
সরকারী পদ
আপদ-বিপদ
থাকতো ওসব চা-টা খান।
বুবুর ব্যালেন্স
কামাল খাঁ
বাচ্চাগুলো খায় না বুবু
পাখির মতো টোকে,
এটা সেটা আদর সোহাগ
কাজ হয় না বোকে।
বাড়ির হাঁড়ির নাড়ীর খবর
কথার নানান শাখা,
অফিস টাইম নাস্তা বানাও
হাতে ময়দা মাখা।
ভাই’য়ের ফোনে ভাবী বলেন-
জীবন ঝালাপালা,
এমনভাবে ভাবীর-বুবু’র
নানান কথামালা।
নতুন কথা জুড়তে গিয়ে
হটাৎ ব্যালেন্স শেষ,
ওপার থেকে তাল মেলানো
বুবু নিরুদ্দেশ!