দুই ফাঁক চাঁদ, নেইল আর্মস্ট্রং-এর মুসলমান হওয়া:-জাকির তালুকদার
শুধু ওয়াজকারীরা বললে তেমন কোনো প্রভাব পড়ত না। তাদের কথায় হাজার হাজার শ্রোতা হাত তুলে সমর্থন জানিয়ে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যায়। তারপর শতকরা ৯৯ জন ভুলে যায় ওয়াজের কথা। কারণ তাদের প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধে জড়িত থাকতে হয়।
বিপদের জায়গা হচ্ছে তথাকথিত শিক্ষিত, দেশচালক লোকদের নিরন্তর ‘মিনি ওয়াজ’। এদের মধ্যে সচিব, জেনারেল, ব্যারিস্টার, বিচারপতি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও আছেন। তারা বিশ্বাস করেন যে নেইল আর্মস্ট্রং চাঁদে গিয়ে চাঁদকে দুই টুকরা থেকে ফের আবার জোড়া দেবার চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন। আমাদের নবীজী শাহাদাত আঙুলের ইশারায় চাঁদকে দ্বিখণ্ডিত করেছিলেন, এবং আবার জোড়া লাগিয়ে দিয়েছিলেন। আর্মস্ট্রং তা নিজচোখে দেখতে পেয়ে পৃথিবীতে ফিরে এসে প্রথমেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।
জীবনের সর্বশেষ সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন চন্দ্রচারী আর্মস্ট্রং। বলেছিলেন তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেননি। উক্ত হাদিসের কথা তিনি কোনোদিন জানতেন না। চাঁদে অমন কিছু তিনি দেখতে পাননি। দেখতে পাওয়া সম্ভবও না। চাঁদ তো হাতে তুলে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখার মতো কোনো গোলক নয়। পৃথিবীর চাইতে ছোট হলেও চাঁদ যথেষ্টই বিশাল। এবং আর্মস্ট্রং চন্দ্রপৃষ্ঠে বড়জোর আধা কিলোমিটার জায়গাতে পদচারণা করেছিলেন।
অন্য অনেক নভোচারী চাঁদকে কাছ থেকে প্রদক্ষিণ করেছেন শত শত বার। কিন্তু কেউ বলেননি যে চাঁদে তারা এমন কোনো চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন।
কিন্তু শিক্ষিত অন্ধ মহাত্মাদের এসব কথা বললে উনারা গম্ভীর মুখে বলেন যে তারা এইসব বিষয়ে তর্ক করতে করতে রাজি নন।
দেশচালকদের যখন এই অবস্থা, তখন জনগণকে তারা কোথায় নিয়ে যাবেন তা আন্দাজ করা কি কঠিন?