নাটোরকন্ঠ: নাটোরের নলডাঙ্গার বিভিন্ন গ্ৰামে ঘুরে বেড়াচ্ছে দলছুট হনুমান। নলডাঙ্গায় হঠাৎ একটি হুনুমানের আগমন ঘটেছে। ক,দিন থেকে উপজেলার পাটুল,মাধনগরসহ বিভিন্ন গ্রামে হনুমানটি সর্বত্র বিচরণ করছে। স্থানীয় লোকজন হনুমানটি দেখতে ভিড় করছেন। তবে হনুমান এখনও পর্যন্ত কারো কোনো ধরনের ক্ষতি করেনি। অস্থির এ প্রাণীটি গ্রামের ভেতর ছুটে বেড়াচ্ছে। কখনও ছাদে, গাছের মগডালে, কখনও বাঁশের ঝাড়ে।
হনুমানটিকে এক নজর দেখতে উৎসুক মানুষ ও ছুটছে পিছুপিছু। মানুষগুলোকে দেখে হনুমানও অস্থিরতা বোধ করছে। হনুমানের কোনো ধরনের ক্ষতি না করতে সচেতন করা হচ্ছে।
বিবিসিএফ এর দপ্তর ও সবুজ বাংলার সাধারন সম্পাদক ফজলে রাব্বী জানান, সম্ভবত খাদ্যের অভাবে এই হনুমান লোকালয়ে চলে এসেছে। সকল স্থানেই মানুষ বড় বড় বৃক্ষ নিধন করছে, ফলের গাছগুলো কেটে ফেলছে, যার ফলে প্রকৃতির উপরে নির্ভরশীল প্রাণীকুল আজ বিলুপ্তির পথে। এদের রক্ষা করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
ছবিটি সোমবার বিকালে নাটোরের নলডাঙ্গার মাধনগর বাজার থেকে তোলা।
উল্লেখ্য,বাংলাদেশে প্রায় ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৭১৮ প্রজাতির পাখি, ১৫৭ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ৪২ প্রজাতির উভচরসহ সর্বমোট ১০৪২ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। কিন্তু জনসাধারণেরর অজ্ঞতা, অসচেতনতা, অদূরদর্শীতার কর্মকান্ডের ফলে বন্যপ্রাণী ও এদের আবাসস্থল হুমকির মুখে। ইতিমধ্যেই আমাদের দেশ থেকে ১৪ প্রজাতির বন্যপ্রাণী বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং অসংখ্য বন্যপ্রাণী আজ বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকার বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ পাস করেছে। এ আইনে -পাখি শিকার, হত্যা, আটক ও ক্রয় বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ যার সর্বোচ্চ শাস্তি ২ বছর কারাদন্ড এবং ২ লক্ষ টাকা জরিমানা। বন্যপ্রাণী আটক, হত্যা, আটক ও ক্রয় বিক্রয় দন্ডনীয় অপরাধ যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১২ বছর কারাদন্ড এবং ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।