সেলিম অাহমেদ ,বাগাতিপাড়া নাটোর প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাস (কোভিট ১৯) যখন পৃথিবীতে মহামারি আকার ধারণ করেছে ঠিক তখন নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ডাক্তার দের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন নাটোরের একটি ক্ষুদ্র সংগঠন তেরো ফাউন্ডেশন। রবিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে তেরো ফাউন্ডেশন নামের এই সংগঠনটি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেৱ কাছে ৩০ টি ফেসশীল্ড হস্তান্তর করেন শুধু তাই নয় আরও জানা যায় উপজেলা নিবার্হী অফিসারের নিকট ৫ টি ফেসশীল্ড হস্তান্তর করেন,এছাড়াও তেরো ফাউন্ডেশন সংগঠনের যুবকরা জানান আগামীকাল সোমবার (২০ এপ্রিল) উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে ৫ টি ফেসশীল্ড বিতরণ করা হবে। সে সময় সেখানে উপস্হিত ছিলেন তরো ফাউন্ডেশনের সদস্য জাহিদ বিন রিয়াজ ( এম অাব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের ছাত্র ) অাল মুঈদ (রংপুর মেডিকেল কলেজের ছাত্র) অাহমদ সাদমান সাকিব (খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র) তারা উভয় বাগাতিপাড়া উপজেলার নাগরিক। ফেস শিল্ড সম্পর্কে তাদের নিকট জানতে চাইলে বলেন, ইন্টারনেটের মাধ্যমে অামরা সৈয়দ রেজওয়ানুল হক নাবিল স্যারের মাধ্যমে তৈরী করা সম্পর্কে জানতে পারি। এবং দেশের এই ক্লান্তিকাল মূহুর্তে ডাক্তারদের পাশে এগিয়ে অাসার জন্য অামরা তৈরী করে বিতরন করতেছি,অামরা প্রথমত নাটোর জেলার প্রতিটি হাসপাতালে বিতরন করতে চাই। সরকারি বা কোন সংস্থা অামাদের অার্থিক সহযোগিতা করলে অারো তৈরী করে বিতরন করা সম্ভব।
তারা অারো জানান, আমরা আমাদের নিজ অর্থায়নে মানুষের সেবা করতে চাই আর আমরা এগুলো মানুষের মধ্যে বিতরণ করছি নিজ অর্থায়নেই,করোনা ভাইরাস আমাদের দেশে থাকা কালিন আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে আসা করছি। এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ফরিদুজ্জামান জানান, এখন যে পিপিই (পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট) দেওয়া হচ্ছে, তাতে মাথার টুপির সঙ্গে চশমা রয়েছে। কিন্তু মুখের কিছুটা অংশ অনাবৃত থেকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘অন্য দেশে চিকিৎসকেরা যে পিপিই পরছেন তাতে ফেস শিল্ড রয়েছে। এখানে ওই শিল্ড মিলছে না। ফলে অক্সিজেনের নল লাগানো বা ট্রাকিয়োস্টোমি করার সময়ে রোগী হাঁচলে চিকিৎসকের সমস্যা হতে পারে।’’ এই পরিস্থিতিতে তেরো সংগঠনের এ ধরনের ফেস শিল্ড তৈরি করে অামাদের পাশে এসে দাড়িয়েছে এ জন্য অামরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল স্টাফ তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং এ কাজের জন্য তাদেরকে অারো উৎসাহিত করছি।