নাটোরে কৃষি উপ-পরিচালকের ঘুষ দাবি সার ডিলারদের কাছে

0
164
nATORE KANTHO

নাটোর কণ্ঠ ডেস্ক : নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সার ডিলারদের কাছে ঘুষ যাওয়ায় সারের বাজারে দাম বৃদ্ধি হওয়ার আশঙ্কা করছেন ডিলাররা। তাদের অভিযোগ মন্ত্রণালয়ের অজুহাতে উৎকোচ দাবি করা হয়েছে।

এজন্য এই অসাধু কর্মকর্তার শাস্তির দাবি করেছে জেলা ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল ফারুক। এদিকে লিখিত অভিযোগের পর তদন্ত করছেন জেলা প্রশাসন।

শস্যভান্ডার খ্যাত নাটোর জেলায় রয়েছে ফসলের বৈচিত্র্য। ধান, গম, মটরশুটি, সরিষা মুগডাউল পেঁয়াজ এবং রসুন উৎপাদনে, দেশের বড় অংশের খাদ্য যোগান আসে এই জেলা থেকে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন প্রকার ফল ও সবজি উৎপাদনেও দেশের শীর্ষ উৎপাদনশীল জেলা নাটোর যে কারণে রাসায়নিক সারের চাহিদা বেশি।

জেলায় এ বছর ইউরিয়া- ৫৮,৫৯৩ মেট্রিক টন, টিএসপি- ১৬,৬০৩ টন, ডিএপি- ৩৫,৭৮৩ মেট্রিক টন, এমএপি- ১৬,৫৮৪ মেট্রিক টন,জিপসাম- ১১,৬৩৯ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ অনুমোদন করেছেন সরকার।

বিপরীতে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন বিসিআইসি’র ডিলার রয়েছেন ৬৫ জন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন বিএডিসি’র ডিলার রয়েছে ৬৭ জন। ডিলাররা অভিযোগ করেছেন কিছুদিন আগে কৃষি বিভাগ থেকে নানা শর্ত উল্লেখ করা একটি চিঠি পেয়েছেন।

এরপর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রত্যেক ডিলারের কাছে আলাদাভাবে ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না দিলে প্রকাশ্য হয়রানি করার হুমকি দেন। একজন ডিলার জানান, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালকের নিজস্ব লোকজন দিয়ে সারের গাড়ি লোড আনলোডের সময় ছবি তোলনোসহ নানারকম হয়রানি করছেন।

অন্য একজন ডিলার জানান, দুই তিন মাস ধরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক এর কার্যক্রম অতিরঞ্জিত বলে মনে হচ্ছে। আরো একজন ডিলার জানান, ইনি উপ-পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর থেকে আমাদের উপরে বিভিন্ন ধরনের আইন-কানুন এমনভাবে প্রয়োগের চেষ্টা করছেন যাতে আমরা সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনা না করতে পারি।

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন নাটোর জেলা শাখার সভাপতি জানান, তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে কৃষি উপ-পরিচালকের ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি প্রথমে এসেই ডিলারদের ঘরে ঘরে গিয়ে তাদেরকে নাজেহাল করার পেছনের কারণ হচ্ছে উৎকোচ দাবি করা।

নাটোর প্রশাসনের কাছে জেলার ডিলাররা তাদের অভিযোগ উপস্থাপন করেন। এই অসাধু কর্মকর্তার অপসারণের দাবি করা হয়েছে। তবে ভিন্ন কথা বলছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাহমুদুল ফারুক তিনি জানান, মন্ত্রণালয় এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্দেশেই চিঠি দেওয়া হয়েছে ডিলারদের কাছে।

অভিযোগের বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয়ের নজরে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

২০১১ খ্রিস্টাব্দে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় কৃষি কর্মকর্তা থাকাকালীন সময়েও কৃষি কার্ড দেওয়ার বিনিময়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্ত মাহমুদুল ফারুকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ঘুষের টাকায় তিনি রাজশাহী শহরে সাততলা ভবন নির্মাণ করেছেন।

সূত্র : একাত্তর টেলিভিশন

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরের বড়াইগ্রামে সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে : নিহত ১ আহত ৩ জন
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরের লালপুরে ফেন্সিডিল সহ দুই যুবক আটক

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে