নাটোর কন্ঠ : নাটোরে আমজাদ খান চৌধুরী নামে একটি নার্সিং কলেজ চালু করেছে প্রাণ-আরএফএল শিল্পগ্রুপ। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ-আরএফএল প্রতিষ্ঠাতা আমজাদ খান চৌধুরী’র নামেই নার্সিং কলেজ চালু করা হয়েছে।
আজ সমবার ফিতা কেটে আমজাদ খান চৌধুরী নার্সিং কলেজ‘এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (কর্পোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী।
এসময় উজমা চৌধুরী বলেন, ‘সারাবিশ্বেই নার্সিং পেশা অত্যন্ত সম্মানজনক পেশা এবং দেশের অভ্যন্তরেই এ খাতে প্রচুর চাহিদা রয়েছেস্বাস্থ্য খাতে বিশেষ অবদান রাখতে আমরা এ নার্সিং কলেজ চালু করেছি। নার্সিং কলেজের মাধ্যমে কম খরচে মানসম্মত শিক্ষা প্রদান করা গেলে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ২০১৬ সালে নাটোরে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট একটি হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। নার্সিং খাতে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে এ নার্সিং কলেজে রয়েছে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী অভিজ্ঞ শিক্ষক, নিজস্ব আধুনিকমানের হাসপাতালে হাতে-কলমে শেখার ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক ল্যাব,
বিশাল ক্যাম্পাস ও স্বল্প খরচে আবাসিক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আমাদের স্বপ্ন এ নার্সিং কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা জ্ঞান অর্জন করে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়বেন। এছাড়া নাটোর, নরসিংদী ও হবিগঞ্জসহ কয়েকটি স্থানে আমাদের হাসপাতাল রয়েছে যেখানে তারা কোর্স শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন।’
আমজাদ খান চৌধুরী নার্সিং কলেজ‘এর প্রিন্সিপাল প্রিন্স রায় বলেন, ‘বিএসসি ইন নার্সিং, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি- এ তিনটি কোর্সে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল নির্ধারিত সিলেবাসে কলেজের পাঠ্যক্রম সাজানো হয়েছে এবং এটি রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।’
প্রাণ এগ্রো লিমিটেড কারখানার জেনারেল ম্যানেজার হযরত আলী বলেন, ‘প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের প্রধান লক্ষ্য ব্যবসায়িক কর্মকান্ডের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করা। আমরা এরই মধ্যে ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি সরাসরি কর্মসংস্থান করতে সক্ষম হয়েছি।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশনস) তৌহিদুজ্জামানসহ প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।