খন্দকার মাহাবুবুর রহমান : বিকাল হতেই নাটোর শহরের লালবাজারের রাস্তায় দেখা মেলে এক স্কুল পড়ুয়া ছেলের। সঙ্গী তার বাইসাইকেল। দেখে মনে হয় তার কথা মত চলে সাইকেল। কখনও সাইকেলের সামনের চাকা শূন্যে আবার কখনও দু’হাত প্রসারিত করে দু পা সাইকেলের প্যাডেল ছাড়া কিন্তু সাইকেল চলছে।
রাস্তায় চলাচলকারী অনেকেই অবাক হয়ে চেয়ে থাকে আবার কেউবা মুঠোফোনে ভিডিও করে নেয় সুযোগ বুঝে। ছেলেটির নাম মুন্না। নাটোর গ্রীণ একাডেমী কেজি এ্যান্ড হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র সে। লালবাজারের এই ছেলেটি বাই সাইকেল স্ট্যান্ট গ্রপের সদস্য। গ্রুপটির নাম Natore Extreme Stunterz ।
এই গ্রপের ত্রিশ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও আছে। বাবু শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়ামের সামনে তারা অনুশীলন করে। মুন্নার সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাদের অনুশীলনের জন্য কোন জায়গা নেই। স্টেডিয়ামের সামনে তারা অনুশীলন করতে গেলে প্রথমে তাদের নিষেধ করা হয়। পরবর্তীতে আবারও মেলে অনুমতি।
কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আলমঙ্গীর হোসেন আকাশ জানান, যারা স্ট্যান্ট করে তারা বেশির ভাগই নাটোর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। তাদের কোন প্রশিক্ষক নেই। তাদের শেখা বলতে ইন্টারনেট থেকে ভিডিও দেখে।
কমিটির সভাপতি রিফাত মাহমুদ জানান, ২০১৫ সালে তাদের কমিটি গঠন করা হয়। তারা স্টেডিয়ামের সামনে অনুশীলন করে। অনুশীলন শুরুর পরে নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশ কিছু দিন অনুশীলন বন্ধ ছিল। পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি মিললে আবারও অনুশীলন শুরু হয়।
বাইসাইকেল স্ট্যান্ট এশিয়ার অনেক দেশেরই জাতীয় খেলা।নাটোরের ছেলেদের জন্য একজন প্রশিক্ষক প্রয়োজন। এজন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুশীলনের জন্য নির্ধারিত জায়গা এবং প্রতিযোগিতা মূলক অবস্থান তৈরীর আহ্বাবান জানান সাইকেল স্ট্যান্ট বালকেরা।