ফুলের মৃত্যু
==অনুপম সৌরিশ সরকার
সদ্য স্নানশেষে মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে আয়নার সামনে—
সাধারণ পরিবারের অতি সাধারণ এক তরুণী ।
প্রথমেই সে দেখে তার চোখ—স্বপ্নভরা দুনয়ন,
প্রত্যেক সাধারণ নারীর মতই
একটি শিশুর আঁধারবিনাশী হাসি
লেগে আছে তার চোখে ,
যে চোখ দিয়ে সে তার সন্তানকে মাখিয়ে দিতে চায়
আদরের রেণু ও আশীর্বাদের স্নানজল ।
এবার সে দেখে তার শরীর,
সব মেয়ের মতো
তার বুকের মধ্যেও আছে এক মা,
সেও চায় সন্তানকে কোলে নিয়ে
অমর্ত্যস্বাদের পরশ পেতে ।
সেও চায় তার হৃদয়-পীযূষ-ধারায়
পুষ্ট হবে তার গর্ভকুসুম ।
সবশেষে সে দেখে তার মুখ,
সব মেয়ের মতো
তার মুখেও আছে এক প্রণয়িনীর লজ্জাবিভোর আলো,
সে আলোতে পথ চিনে হেঁটে আসবে এক দেবশিশু,
সেই শিশুর ঠোঁটের স্পর্শ লেগে
স্বর্ণময় হবে তার ধূলিধুসরিত জীবন ।
কিন্তু হায়! এ জীবনে তার মাতৃত্বের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হবার নয়,
কারণ চাকরির শর্তানুসারে,কেটে নেওয়া হয়েছে
তার গর্ভাশয় ।
=====