বাগাতিপাড়া নাটোরকন্ঠ : নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বিহারকোল বাজারে সরকারি খাস জমিতে অবৈধভাবে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য লিখিত অভিযোগ করেছেন বিহারকোল বাজার কমিটি।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা দেবী পাল বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরেই উভয় পক্ষকে নোটিশ করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বাগাতিপাড়া পৌরসভার বারইপাড়া মহল্লার দীলীপ কুমার রায় বিহারকোল বাজারের ১নং খাস খতিয়ানের ৪ ও ৫ নং দাগের ১২শতক ধানী জমি লিজ নিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করছে। বাজারের জলাবদ্ধতার সমস্ত পানি ওই সরকারি জমি দিয়ে বড়াল নদীতে যেত। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের সকল উপায় বন্ধ করে অবৈধভাবে পাকা ঘর নির্মাণ করায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
বিহারকোল বাজার কমিটি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গনির দাবি, খাস খতিয়ানের সরকারি ওই জমি ধানী শ্রেণীর। সেখানে পাকা ঘর নির্মাণ শুরু করায় এখনি জলাবদ্ধতা তৈরী হয়েছে। প্রধান সড়কে যেভাবে পানি জমে রয়েছে তাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কটি নষ্ট হয়ে যানবাহন চলাচল বিঘ্ন ঘটবে। বাজার কমিটির অন্যান্যরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বিহারকোল বাজারের ব্যবসায়ীগণ সরকারি নিয়মানুযায়ী লিজ নিয়ে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালালেও কেন্দ্রীয় মসজিদ নির্মাণের জন্য সকল দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাতেকরে ব্যবসায়ীগণ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সরকারি ওই ফাকা জমির লিজ বাতিল করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখে ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদারদের অস্থায়ীভাবে কাঁচা-বাজার ও মাছ-বাজার বসার ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করেন তারা। এ ঘটনায় বারইপাড়া মহল্লার দীলীপ কুমার রায়ের ছেলে কল্লোল কুমার রায় দাবি করেন, পাকা ঘর নির্মাণের বৈধতা আছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আধা-পাকা ঘর নিমার্ণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। আর বাজারের জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব আমার একার নয় সকলের। তবে ধানী শ্রেণীর জমিতে আধা-পাকা ঘর বা মার্কেট করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।
Advertisement