নাহিদুল ইসলামঃনাটোরের বড়াইগ্রামে আম্পান ভেঙ্গে দিল কলা চাষি রহমত আলির স্বপ্নের বাগান। উপজেলার মাঝগাঁও ইউনিয়নের বাহিমালি উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রহমত আলি সফলতার স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছিলেন কলা চাষ। নিজের জমা জমি ছিলনা তাই অন্যের জমি বর্গা নিয়ে তার এই পথচলা শুরু করে দু’বছর বছর আগে। তিনটি বেসরকারি সংস্থা থেকে ৬ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে তার ব্যাবসা ভালোই চলছিল। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে সব লন্ড ভন্ড করে দিল। বর্গা চাষি রহমতের দুচোঁখ ভরা স্বপ্ন এখন অশ্রুসিক্ত। কিভাবে কাটবে তার আগামী দিনগুলো আর কি করে বইবে সে এই ঋণের বোঝা? রহমত বাহিমালি গ্রামের বিভিন্ন জনের মালিকানা জমি থেকে ৯ বিঘা জমি বাৎসরিক ১৪ হাজার টাকা নগদ খাজনায় বন্ধক নিয়ে কলা চাষ শুরু করেন। তিনি জানান -ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে আমার কলা ক্ষেত একেবারে ধ্বংস হয়ে গেছে।আমার প্রায় আট লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমি এখন নিঃস্ব। কলা চাষের উপর রহমত তিনটি সংস্থা থেকে যে ৬ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন ঝড়ের আগে দেড় লক্ষ টাকার মতো পরিশোধও করেছেন।এখন কি করে ঋণের কিস্তি দেবে আর কিবা খাবে ছেলে সন্তান দের নিয়ে, পাশে দাড়াবার কেহই নেই। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বাগানের কলাগাছের সব গুলো মাথা ভেঙ্গে পড়ে আছে আর চাষির চোখে পানি হাউমাই করে কাঁদছে। মাঝগাঁও ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ জাহিদ আলি জনান- রহমতের কলাবাগানের যে ক্ষতি সাধন হয়েছে তা অনেক বেশি।সরকারিভাবে তাকে সহযোগিতা না করলে সে যেকোন সময় এক্সিডেন্ট করতে পারে।প্রায় আট লক্ষ টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে তার। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান- আমদের বড়াইগ্রাম উপজেলায় কলাচাষিরা সবথেকে বেশি ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছে। অনেক জায়গার কলা বাগান আমরা পরিদর্শন করেছি তবে সরকারি প্রনোদনা আসলে ক্ষতিগ্রস্থ চাষিদের বিষয়টি সর্বাগ্রে বিবেচনা করা হবে।
বড়াইগ্রামে আম্পান ভেঙ্গে দিলো কলাচাষি রহমত আলির স্বপ্ন
Advertisement