ভরদুপুরে কবি নূরুল হকের সঙ্গে…মাসউদ আহমাদ
মৃদু ও নির্জন স্বভাবের মানুষ বলতে যা বোঝায়, তিনি ঠিক তাই। প্রয়োজন না হলে খুব একটা কথা বলেন না। পাশ দিয়ে হেঁটে যান নিঃশব্দে, টেরও পাওয়া যায় না। সবুজ ডাব দেখে যেমন ভেতরটা বোঝা যায় না, কী সুধা আছে গভীরে; সে জন্য ডাব কেটে ভেতরটা চেখে দেখতে হয়। আপাত কাঠখোট্টা অথচ প্রাণবন্ত ও আন্তরিক এই মানুষটিকেও বাইরে থেকে বোঝা যায় না।
আজ দুপুরে, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। প্রথমায় বই দেখছিলাম। হঠাৎ তাঁকে দেখে কথা বলার লোভ হয়। আগেও দেখা হয়োছে বেশ কবার। কিন্তু কখনো কথা হয়নি। আজ হয়ে গেল।
ছবি তুলতেও তাঁর আপত্তি নেই। আমি বললাম, আপনাকে একটা পত্রিকা দিতে চাই; যদি ভারি মনে না করেন।
তিনি মৃদু হেসে বললেন, নিশ্চয়ই।
ভারি হবে না তো?
ভারি? একটা পত্রিকা যদি হাতে পেয়ে ভারি মনে হয়, তাহলে এই জীবনের দাম কী!
তাঁর কথাটা খুব পছন্দ হলো।
ফেরার সময় নূরুল হক বললেন, খুব খুশী হলাম; আমাকে আপনি চিনতে পেরেছেন এবং নিজে থেকে আলাপ করলেন। এটাই তো আমার বেঁচে থাকার আনন্দ।
আমি বললাম, ভালো থাকবেন।
তিনি তাঁর হাতে আমার হাত নিয়ে শুভকামনা জানালেন।
একটা কাজ থাকায় দ্রুত বেরিরে এলাম। কিন্তু তাঁর হাতের পরশ রয়ে গেল মনে। সেই পরশে হয়ত মনের কোনো সংবেদী সংযোগ ছিল।