শুধু পারুর জন্য
ভাস্কর বাগচী
কোজাগরী পূর্ণিমার আলোক স্রোতের রাতগুলো,
বাড়ীর পাশে ধু-ধু মাঠে, পারুর অপেক্ষায়
কত অলস সময় চলে গেছে।
পারুর বায়নায়,
ওকে নিয়ে নির্জন নিরালার ধু-ধু মাঠের বুকে
হেমন্ত সন্ধ্যায় কোজাগরী চাঁদ দেখতে গিয়েছিলাম।
কোজাগরী পূর্ণিমার চাঁদ কি বিরাট!
ও স্নিগ্ধ আলোক রশ্মিতে এ সৃষ্টিকে মোহনিয়া করে।
আসমান -জমিন- বৃক্ষরাজি মনে হয়,
সবাই জগত প্রেমে প্রেমোদগম!
পারু চাঁদকে দেখিয়ে বলেছিল,
দেখ ঐ চাঁদে যুগোল মুরতি দেখা যাচ্ছে,তাইনা?
আমি ঠাট্টা ছলে বলেছিলাম,
আমিতো দেখছি আমরাই!
পারু লজ্বায় লাল হয়ে –
আমার বুকে মাথা রেখে বলেছিল,
এবার জমিনেও যুগোল মুরতি!
অনেক ক্ষণ নির্জন নিরালা নিঃশব্দ স্তব্ধ!
আমরা স্বর্গীয় সময়ে প্রবেশ করেছিলাম।
হিমেল হাওয়ায় পারুর উড়ে যাওয়া এলোচুল থেকে
স্বর্গীয় সুগন্ধি ছড়িয়ে পড়ছিল!
অচেতন থেকে কখন যে চেতনায় এসে ছিলাম,
আজও মনে করতে পাড়ি না।
পারু চলে গেছে!
কিন্তু আজও কোজাগরী পূর্ণিমা আসে!
মোহিত হয় পৃথিবী!
আর ধু-ধু পান্তরে দাড়িয়ে চলে
অাক্ষেপহীন অপেক্ষা! শুধু পারুর জন্য।