ঋণ
সুমন দত্ত
ভয়াল সেই রাত্রিকে ভুলে থাকতে চাই
শোকার্ত হৃদয়ে তবু এক মূর্ছিত দিন
আমি সূর্যকে ডেকে বলি শুধু একবার
বাজাও তোমার ওই আলোকের বীণ।
ভয় হয় যদি সেই আলোর গানে
শুকনো পাতায় কোন দহন আনে
তাই ভাবি যতবার
নেই সমাধান তার
অবশিত মন থাকে আঁধারে বিলীন।
সেই ভয় সেই দ্বিধা সরিয়ে ফেলে
প্রথম আলোর মতো না হয় এলে
আমি যদি মুছে যাই
যেন তোমাতেই হারাই
অসীমের অনুগ্রহে শোধ হয় ঋণ।
তোমার জন্মদিন আজ
সুমন দত্ত
দোয়েল পাখি তার পুচ্ছ তুলে নিয়েছে ডালিম ফুলের নীরবতা।তারা যখন জ্বলছিল, মাটিতে তখন রচিত হচ্ছিল কবর।এই কথা বলেছিল জয়া–আমাদের সাথে অরণ্যের পাশে বসে।আমরা তখন নাভিছেঁড়া মাতাল।রেড লেভেল পান করে আদ্যোপান্ত অমর, অমরতায় আচ্ছন্ন।জয়া তার ধূসর হাত রাখল আমাদের ভাঁজ করা কাঁধের ওপর।চার পাপড়ির ফুলের মতো লুটিয়ে পড়ছি আমরা আমাদের নিজস্ব তোরণে।হাত ভাঙছে, পা ভাঙছে আমাদের–কপাল ফেটে বেরোচ্ছে আগুন, আগুনের সাপ।কালো তাঁবুর মুখে জয়া ছড়িয়ে দিয়েছিল তার হাসি –আরো বলেছিল ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যাওয়া কংকালের পাখি, বিমর্ষ ঈগল। আমরা রয়েছি বৃষ্টির অপেক্ষায়; ধুলোর ঘ্রাণ তুলে দেব জলের সম্ভাবনায় : জয়া বলেছিল।
জয়া আজ তোমার জন্মদিন অনেক অনেক ভালবাসা নিও।