অনিল মারান্ডী ছিলেন মানব মুক্তির সংগ্রামের নেতা

0
613
কালিদাস এনকে

কালিদাস রায়, নাটোর,

“অনিল মারান্ডী শুধু আদিবাসীদের নেতা নয়, তিনি ছিলেন মানবমুক্তির সংগ্রামের নেতা।” জাতীয় আদিবাসী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রয়াত অনিল মারান্ডীর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এই কথা বলেন। জাতীয় আদিবাসী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অনিল মারান্ডীর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকীতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ আজ ০৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকাল ৪.০০টায় রাজশাহীর শহীদ জামিল আকতার রতন মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভার শুরুতে প্রয়াত অনিল মারান্ডীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তার আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এছাড়াও সকাল ১০টায় গোদাগাড়ী উপজেলার কাকনহাটের পাঁচগাছিয়া গ্রামে তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে। জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি রাজশাহী জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ও রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামানিক দেবু, ন্যাপ রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, বাসদ নওগাঁ জেলা সমন্বয়ক জয়নাল আবেদিন মুকুল, সিপিবি রাজশাহী জেলা সভাপতি এনামুল হক, প্রয়াত অনিল মারান্ডীর সহধর্মিনী অগাস্টিনা মুর্মু, বোন তেরেজা মারান্ডী, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজশাহী জেলা সভাপতি কল্পনা রায়, মুক্তিযুদ্ধেও চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চ রাজশাহীর সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক সূর্য্য হেমব্রম, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সবিন চন্দ্র মুন্ডা, প্রেসিডিয়াম সদস্য খ্রিস্টিনা বিশ্বাস, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গণেশ মার্ডি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা সভাপতি বিমল চন্দ্র রাজেয়াড়, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সূভাষ চন্দ্র হেমব্রম, রাজশাহী জেলা সাধারণ সম্পাদক সুসেন কুমার শ্যামদুয়ার, রাজশাহী মহানগর সাধারণ সম্পাদক আন্দ্রিয়াস বিশ্বাস, নাটোর জেলা সভাপতি প্রদ্বীপ লাকড়া, গোদাগাড়ী উপজেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ হেমব্রম, কেন্দ্রীয় সদস্য রাজকুমার শাঁও, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী রাজশাহী মহানগর সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, বাংলাদেশ রবিদাস পরিষদ রাজশাহী জেলা সভাপতি রঘুনাথ রবিদাস, আদিবাসী যুব পরিষদ রাজশাহী জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক নবদ্বীপ লাকড়া, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নকুল পাহান, সাধারণ সম্পাদক তরুণ মুন্ডা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিলীপ পাহান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি রতিশ টপ্য, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার মাহাতো প্রমূখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম পিয়ারুল বলেন, অনিল মারান্ডী যে আদর্শ নিয়ে আদিবাসীদের অধিকার আদায়ের জন্য যে লড়াই সংগ্রাম করে গেছেন তা সকলকে ধারণ করতে হবে। আদিবাসীদের ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে গেলই তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে। তবেই তাঁর আরাম-আয়েশ, বিলাসিতা ত্যাগ করা স্বার্থক হবে। কেন্দ্রীয় সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন বলেন, অনিল মারান্ডী ছিলেন আদিবাসীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামী যোদ্ধা। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে রাজপথে অধিকারের জন্য লড়াই করে গেছেন।

তাঁর সংগ্রামের ইতিহাস বলে শেষ করা যাবেনা। এছাড়াও বক্তারা বলেন, অনিল মারান্ডী শোষিত-বঞ্চিত ও আদিবাসী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি ছিলেন প্রগতিশীল আন্দোলনের এক উজ্জল নক্ষত্র। তাঁর ত্যাগ ও জীবন আদর্শ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। তিনি শুধু আদিবাসীদের জন্যই সংগ্রাম করেননি, তিনি সকল নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের জন্য লড়াই করেছেন। জাতীয় আদিবাসী পরিষদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত প্রায় ২৬ বছর আদিবাসীদের সংগ্রামে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। সমাজে যারা শেষিত বঞ্চিত হচ্ছে তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। অনিল মারান্ডীর আন্দোলনের ইতিহাস বলে শেষ করা যাবেনা। বক্তারা, অনিল মারান্ডীর প্রতি লাল সালাম জানান।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধ“আমার আমি”-নাসিম উদ্দিন নাসিম
পরবর্তী নিবন্ধ“গরীবের ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ “- নাসিম উদ্দীন নাসিম

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে