নাটোর কন্ঠ : নাটোর সদর উপজেলার ৩নং দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের পদ্মবিল, কাকবাড়িয়া, দিয়ারপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া, গাঙ্গইল বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ, অবৈধ ভাবে প্রভাবশালীরা বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছিল। ফলে প্রায় ২ হাজার বিঘা জমির ফসল অনিশ্চিতের মুখে পড়েছিল। দিশেহারা হয়েছিল ওই অঞ্চলের কৃষকরা।
অত্র অঞ্চলের সৃষ্টি হয়েচ্ছিল জলাবদ্ধতা, পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় আবাদ করতে পারছিলেন না স্থানীয় কৃষকরা। সময় মতন আবাদ না করতে পারলে অনাহারে থাকতে হবে এমন আশঙ্কা করছিলেন তারা। বিষয়টি নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অবগত করলে, তাৎক্ষণিক ভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন প্রশাসন। তারই সুফল হিসাবে কৃষকরা প্রতি বিঘায় ২৫ থেকে ২৭ মন হারে ধান উৎপাদন করেছেন।
কৃষকরা নাটোর কন্ঠকে জানায়, সময় মত যদি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এই বিলের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ, অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার না করতেন, তবে তারা তাদের ঘরে এই সোনার ফসল তুলতে পারতেন না। কৃষকরা আরো জানান, প্রতি বিঘায় তারা ২৫ থেকে ২৭ মণ ধান উৎপাদন করেছেন।
চলতি বছরের গত ৫ জানুয়ারি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন, পদ্মবিল অঞ্চলের ভুক্তভুগী কৃষকরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অবৈধ দখলদারদেরকে, উপজেলায় হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। অবৈধ দখলদাররা মাছ স্থানান্তরের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সময় পেরিয়ে গেলেও তারা পানি নিষ্কাশনের পথ উন্মুক্ত না করায় উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা রাতভর অভিযান পরিচালনা করে, এক্সেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে, অবৈধ বাঁধ গুলো ভেঙ্গে দেন। ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ত্বরান্বিত হয়। মাঠ শুকিয়ে গেলে কৃষকরা বীজ বপন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম নাটোর কন্ঠকে জানান, ভুক্তভুগী কৃষকদের জমিতে বীজ বপনের সময় অতিক্রম হয়ে যাচ্ছিল। জলাবদ্ধতার কারণে তারা ফসল উৎপাদন করতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছিলেন। কৃষকরা সময় মত অভিযোগ করেছিলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযান পরিচালনা করে তাৎক্ষণিকভাবে অবৈধ দখলদাদের উচ্ছেদ করে পানি নিষ্কাশন করা হয়েছিল। তিনি আরো জানান, ভবিষ্যতে যদি কেউ এ ধরনের অবৈধভাবে পানি নিষ্কাশনের পথে বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ করে, তবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অবৈধ দখলদাররা প্রভাব বিস্তার করলেও প্রশাসন প্রতিনিয়তই তাদের প্রতিহত করছেন। প্রশাসনের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছেন সচেতন মহল।