একজন মানবিক পুলিশ সুপারের গল্প

0
296

নাসিম উদ্দীন নাসিম : বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর অর্জনের পাল্লা, সুনামের খাতা প্রতিনিয়ত বেড়ে যাচ্ছে। পুলিশ বাহিনীর অর্জনের আড়ালে, বিহাইন্ড দ্য সিনে অন্যতম প্রধান মাস্টারমাইন্ড যিনি তার দায়িত্বের জায়গা থেকে পুলিশ বাহিনীর জন্য সর্বোচ্চভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

একজন নেতা যেমন কর্মীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যান, একজন কোচ যেভাবে কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে শিষ্যের কাছ থেকে সেরাটুকু বের করে আনেন। একইভাবে তিনি জুনিয়র অফিসারদের কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে কাজ করিয়ে নেন।

শত বিপদে, প্রতিকূলতার মধ্যে যিনি বট গাছের ন্যায় আগলে রাখেন অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তা, সদস্যদের। বাংলাদেশ পুলিশের জীবন্ত কিংবদন্তী, নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। নাটোর জেলা পুলিশের পরিবর্তনের যে হাওয়া, কাজের যে গতিশীলতা, সফলতা সবকিছুর পেছনে ক্রেডিট এই মানুষটার।

পুলিশ নিয়ে অনেকের বিরূপ ধারণা থাকলেও নাটোর জেলার পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা সে ধারণা সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছেন। পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা একজন ব্যতিক্রমধর্মী পুলিশ অফিসার। পুলিশে যোগদানের পর থেকেই তিনি একে একে অপরাধ দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে থাকেন।

তার সুনিপুণ দক্ষতার মাধ্যমে সুষ্ঠ তদন্তের ফলে দোষীরা খুব দ্রুতই আইনের আওতায় চলে আসে এবং তাদের শাস্তিও হয়। তাঁর দায়িত্বরত এলাকার নাটোর জেলার আপামর জনসাধারণ বলেন, তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ অফিসার। তাঁর কাছে ধনী-গরিব, রিক্সাচালকসহ সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান।

তিনি বলেন, ‘একজন নির্যাতিত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল পুলিশ। আর আমরা যদি তাদের আশ্রয় এবং তাদের সমস্যা নিরসন না করি তাহলে কে করবে।’ “পুলিশ জনতার এবং জনতা পুলিশের” আমি এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবং সাধারণ মানুষের দোয়া ও ভালবাসা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশকে মাদক, জঙ্গি, সন্ত্রাস মুক্ত করতে এগিয়ে যাব।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি একটি কথা বলবো জনগণের উদ্দেশ্যে-আপনারা পুলিশ কে নিজের বন্ধু ভাবুন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। পুলিশ জনগণের শুধু বন্ধুই নয়, সেবকও। পুলিশ সব সময়ই জনগণের বন্ধু হিসেবে জনগণের পাশে ছিল এবং আগামীতেও থাকবে। জনগণের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া পুলিশের পক্ষে ব্যাপক জনগোষ্ঠীর সেবা দেয়া সম্ভব নয়।’

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার সততা ও ন্যায়নিষ্ঠায় নাটোরবাসী মুগ্ধ। বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায় যেদিন একজন করে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহার মতো সৎ পুলিশ অফিসার থাকবেন সেদিনই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে নিরাপদ, সুন্দর এবং শান্তির দেশ।

একজন সৎ, ন্যায়নিষ্ঠা এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠী আওয়াজ তোলা পুলিশ সুপার পেয়ে আমরা সত্যিই ধন্য। নাটোর জেলার পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘বর্তমান সরকার গণমানুষের বন্ধু, সরকার আমাদের পাঠিয়েছেন মানুষের মুখেহাসি ফোটাতে, মানুষের সাথে মিলেমিশে তাদের সুখ দুঃখ ভাগাভাগি করে নিতে।

আমরা মানুষের অতন্ত্র প্রহরী আমাদের কাজ হচ্ছে দেশকে খুন,ধর্ষণ, মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, চাদাঁবাজ, ইভটিজারসহ অপরাধ মুক্ত করে মানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনা।’ “পুলিশ জনগণের বন্ধু” তিনি এই বাক্যটির উৎকৃষ্ট নিদর্শন। তিনি অন্যতম একজন আদর্শ পুলিশ অফিসার যিনি তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা দিয়ে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করেন।

পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা নাটোর জেলার প্রত্যেকটি উপজেলার মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার। অধিকাংশ মানুষই তাকে গরিবের বন্ধু হিসাবে জানেন। তিনি তাঁর সততা, ন্যায়নিষ্ঠা ও তার বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখল বাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছেন।

তার চোখে ধনী-গরিব, রিক্সাচালক হতে সব শ্রেণি পেশার মানুষ সমান। তিনি শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তাই নন পাশাপাশি অনেক সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডে তিনি অবদান রেখেছেন। সময়ে সময়ে আলোচনা-সমালোচনায় পুলিশের খারাপ দিকগুলোই বেশি মুখরোচক হয়ে ওঠে।

পুলিশ যে জনগণের বন্ধু, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারা যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই তা আমরা ভুলে যাই। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করি আমরাই। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে লিটন কুমার সাহা।

যারা সাধারণ মানুষকে সহযোগিতার মতো মানবিক কাজগুলোও নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করেন। করোনার পুরোটা সময় তিনি নাটোরবাসীর পাশে ছিলেন অতন্দ্র প্রহরীর মতো। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর গর্ব একজন কর্মদক্ষতা, বিচক্ষণতা চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা।

এছাড়াও তিনি দিন-রাত পরিশ্রম করে বিপদগ্রস্থ মানুষকে সেবা প্রদান করা সহ অপরাধ দমনে অসীম সাহসী ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে। কোন সাধারণ মানুষকে লাঞ্চিত করে পার পায়নি কেউ, আর এই সফলতার মূল নায়ক বাংলাদেশ পুলিশের নাটোরে হিরো খ্যাত লিটন কুমার সাহা।

পুলিশের রুটিন ওয়ার্কের বাইরেও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা লিটন কুমার সাহা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন দেশ এবং জাতির কল্যাণের জন্য। তিনি একজন সৎ, নিঃস্বার্থ, নির্লোভ, সহজ-সরল, মানবিক পরিচ্ছন্ন ও রুচিশীল ডায়ানামিক পুলিশ সুপার হিসেবে নাটোরবাসীর সত্যিই নজর কেড়েছেন, স্থাপন করেছেন অনন্য উদাহরণ।

এমন ভালো ও মানবিক কাজের জন্য পুলিশ সুপার লিটন সাহাকে স্যালুট জানাই। স্যালুট জানাই রিয়েল হিরোকে। প্রতিটি মানুষের মানবিকতা জাগিয়ে তোলা উচিত; তাহলে এমনিতেই অপরাধ কমে যাবে।

যদি বলি একজন মানবিক অফিসার, যদি বলি একজন নিষ্ঠাবান অফিসার, যদি বলি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ, সব বিশেষণ তাঁর সঙ্গে মিশে আছে। সব সময় শুভ কামনা আর শ্রদ্ধা ভালোবাসা ।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধযথাযথ মর্যাদায় ঈদ উদযাপনে সকলের সহযোগিতা কামনা -ডিসি
পরবর্তী নিবন্ধপ্রতিবন্ধি সুমী গান গেয়ে প্রতিমন্ত্রীসহ সবাইকে কাঁদালেন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে