একদিকে মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়ার লক্ষণ, কারণ, সতর্কতা ও প্রতিকার -ডাঃ মো. মিজানুর রহমান

0
964
Mizanur-Rahman

ডাঃ মো. মিজানুর রহমান : বেলস পালসি অথবা ফেসিয়াল পালসি বা একদিকে মুখ বাঁকা হয়ে যাওয়া।

বেলস পালসি : বেলস পালসি নার্ভ বা স্নায়ুর সমস্যা জনিত রোগ। আমাদের সপ্তম ক্রেনিয়াল নার্ভের নাম ফেসিয়াল নার্ভ। এটি আংশিক বা সম্পূর্ণ প্যারালাইজড হয়ে গেলে তাকে বলে ফেসিয়াল প্যারালাইসিস বা পালসি।

যাদের বেশি হয় : এটি যে কোনো বয়সী নারী বা পুরুষের হতে পারে। তবে পুরুষের তুলনায় নারীর এ রোগটি বেশি দেখা যায়।

কারণ : বেলস পালসি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, তার মধ্যে উল্লে­খযোগ্য হলো ভাইরাল ইনফেকশন, মধ্যকর্ণে ইনফেকশন, ঠান্ডা জনিত কারণে, আঘাতজনিত কারণে, মস্তিষ্কে স্ট্রোকজনিত কারণ, ফেসিয়াল টিউমার, কানের অপারেশন পরবর্তী ফেসিয়াল নার্ভ ইনজুরি ইত্যাদি।

রোগের লক্ষণ : আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ একদিকে বেঁকে যায়। আক্রান্ত পাশের চোখ বন্ধ হয় না ও চোখ দিয়ে পানি পড়ে। কুলি করতে গেলে অন্য পাশে চলে যায়। তরল কিছু খেতে গেলে আক্রান্ত পাশদিয়ে পড়ে যায়। খাবার গিলতে কষ্ট হয়। কপাল ভাঁজ করতে পারে না। কখনও কখনও কথা বলতে কষ্ট হয় কথা জরিয়ে যায়।

চিকিৎসা : চিকিৎসা নির্ভর করে রোগের কারণের ওপর। ওষুধের পাশাপাশি এ রোগের মূল চিকিৎসা হলো ফিজিওথেরাপি। ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর অবস্থা অনুযায়ী প্রোপ্রাইওসেপ্টিভ নিউরো মাস্কুলার ফ্যাসিলিটেশন, ইনফ্রারেড রেডিয়েশন থেরাপি, ইলেকট্রিক্যাল ইস্টিমুলেশন থেরাপি, অ্যাক্টিভ ও প্যাসিভ ফ্যাসিয়াল মাসল এক্সারসাইজ, স্পিচ রি-এডুকেশন থেরাপি, ব্যালুনিং এক্সারসাইজ, রিঙ্কলিং এক্সারসাইজ ইত্যাদি চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। রোগের ব্যাপ্তি অনুযায়ী ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নির্ধারন করা হয়। কখনও কখনও দিনে ২/৩ বার ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

সতর্কতা : মূলত ঠান্ড জনিত কারণে এ রোগ বেশি হয়। তাই ঠান্ডা আবহাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। এ রোগ হলে ঠান্ডা খাবার বর্জন করতে হবে। বিশেষ করে আইসক্রিম ও ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার খাওয়া যাবে না। রোদে গেলে চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করতে হবে। রাতে ঘুমানোর সময় আক্রান্ত চোখের ওপর রুমাল বা নরম কাপড় দিয়ে রাখতে হবে। অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট এঁর তত্বাবধানে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হবে।

প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন।
ডাঃ মো. মিজানুর রহমান
কনসালট্যান্ট এন্ড বিভাগীয় প্রধান – ফিজিওথেরাপি বিভাগ।
নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চীফ ফিজিওথেরাপিস্ট
কমফোর্ট ফিজিওথেরাপি কেয়ার।
শেওড়াপাড়া, মিরপুর, ঢাকা।
নাটোর জেলায় সাক্ষাৎ করতে পারবেন, প্রতি শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত।
নতুন থানার বিপরীতে, ভাঙ্গা মসজিদ মার্কেটের দ্বিতীয় তলা, মাদ্রাসা মোড়, নাটোর।
প্রয়োজনে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে পারেন- ০১৭১১ ২৩৬০৯৬ অথবা ০১৬২৪ ২৩৫৮৮৬

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধআমরা শংকর-২ / জান্নাত লাবণ্য
পরবর্তী নিবন্ধসিংড়ায় অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে