গুরুদাসপুর, নাটোর কণ্ঠ:
স্বামীর সহযোগিতায় এক গৃহবধূকে (২৪) ধষণের অভিযোগ উঠেছে আপন দেবরের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজলার নোপিনাথপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ধর্ষক দেবর আব্দুল বারেক ও স্বামী আব্দুল মালেককে রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে স্বামী মালেক ও দেবর বারেককে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল বুধবার সকালে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লেক্সে ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। দুুপুরে অভিযুক্ত ওই দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন- বেশ কিছুদিন ধরে স্বামীর সহায়তায় দেবর বারেক তাকে কু-প্রস্তাব দিচ্ছিলেন। কিন্তু দেবরের অনৈতিক প্রস্তাবে তিনি রাজি হননি। সামাজিকতার ভয়ে বিষয়টি তিনি কাউকে বিষয়টি জানাননি। সবশেষ মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে বাড়ির বাড়ান্দায় তিনি মাছ কাটছিলেন। স্বামী মালেক এসময় বাড়িতেই ছিলেন। তিনি জানান হঠাৎ দেবর বারেক বারান্দায় আসেন। এসময় স্বামী মালেক বৈদ্যুতিক বাতি নিভিয়ে তাকে শয়ন ঘরে নিয়ে দুই হাত চেপে ধরেন আর দেবর বারেক ধর্ষণ করেন। তিনি দুজনেরই বিচার দাবি করেছেন।
নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু জানান, ঘটনাার পরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত দেবর আব্দুল বারেক বলেন, রাতে ভাবির শয়ন ঘরে গিয়ে ভাইয়ের সামনেই তিনি শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। তবে অভিযুক্ত স্বামী আব্দুল মালেকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতেই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সকালে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে দুপুরে অভিয্ক্তুদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।