ঝড় থেমে যাক -নিউইয়র্ক প্রবাসী পলি শাহিনা

0
312
Poly Shahina

ঝড় থেমে যাক

নিউইয়র্ক প্রবাসী পলি শাহিনা

পলি শাহিনা : বৈশ্বিক মহামারি করোনায় আক্রান্ত পৃথিবীর এপি সেন্টার খ্যাত আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে গত ১১ সপ্তাহ ধরে লকডাউন চলছে। প্রায় তিন মাস ধরে থমকে যাওয়া এই সময়ে অনেক মানুষের মতো আমার জীবন চক্রেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। চেষ্টা করেও নিয়মমতো খাওয়া, ঘুম সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছিনা। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে শরীর, মন অকারণে নেতিয়ে থাকে। কোন কাজে উৎসাহ খুঁজে পাই না৷

জীবন এক আশ্চর্যজনক ঘেরাটোপে মোড়ানো অপরিসীম রহস্যের নাম। যে আমি ঘড়ির মিনিটের কাটার সঙ্গে হিসেব কষে জীবন যাপন করতাম, খুব নিয়মানুবর্তী ছিলাম, সে আমি এখন শামুকের মতো শ্লথ গতিতে সামনের পথে এগিয়ে চলছি। জীবন যাপনের এ বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পেতে ও নিয়মের মধ্যে ফিরে যেতে, ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোনটিকে সাইলেন্ট মুডে দূরে সরিয়ে রাখি, যেন ঘুম না এলেও ঘুমকে আরো দূরে সরানোর হাতিয়ার হিসেবে হাতের কাছে ফোনটিকে না পাই।

ঘুমের এত তদারকি, আদর- আপ্যায়নের পরেও রাত পেরিয়ে সকালের আলো উজ্জ্বল হয়ে উঠে, আমার চোখে ঘুম আসে না। সূর্য যখন মাথার উপরে উঠে আসে, তখন ঘুম এসে জড়ো হয় আমার চোখে। আমি তলিয়ে যাই ঘুমের রাজ্যে। গতকাল আচমকা বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম ভেঙে প্রথমে ফায়ার এলার্ম অন হয়েছে ভেবে দৌড়ে রান্নাঘরে যাই। গিয়ে দেখি সব ঠিকঠাক আছে। পরে শব্দের উৎস খুঁজে পাই আমার মোবাইল ফোনে।

গত ১ জুন থেকে নিউইয়র্কে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আজ তৃতীয় দিন চলছে। দিনে কয়েকবার করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল ফোনে এক্সট্রিম এলার্ট ম্যাসেজ আসে। এলার্ট ম্যাসেজের ভয়ংকর শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। আমার আর পরে ঘুম আসে না। মস্তিষ্কের কোষে কোষে একটা চাপ অনুভব করি। আতঙ্কে ভুগি। এত চাপ, ভীতি নিয়ে ঘুমানো যায় না। ক্লান্ত লাগে। অস্থির ঝড়ে মন অগোছালো উড়তে থাকে।

১৯৪০ সালের পর নিউইয়র্কে এবার ২০২০ সালে আবার কারফিউ জারি করা হয়। গত ২৫ মে মিনেসোটা রাজ্যের বৃহত্তম শহর মিনিয়াপোলিসে, ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড, শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়ায় প্রতিবাদে ফেটে পড়ে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্য সহ গোটা আমেরিকা। প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত মিস্টার ফ্লয়েডকে পুলিশ থানায় না নিয়ে প্রকাশ্যে রাস্তার উপরে ফেলে হাঁটুচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে মারে। প্রত্যক্ষদর্শী একজন এই নির্দয় ঘটনাটি ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়।

মুহূর্তের মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে পড়লে করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করে, প্রতিবাদে দলে দলে মানুষ নেমে আসে রাস্তায়। মিনেসোটা রাজ্য থেকে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকার অন্যান্য রাজ্যে। এখন শুধু আমেরিকা নয় গোটা বিশ্ব ফুঁসে উঠেছে ফ্লয়েড হত্যার এই বর্বরতার বিরুদ্ধে। আজ প্রতিবাদের নবম দিন চলছে।

প্রথম দিকে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ চললেও পরের দিকে উচ্ছৃঙ্খলতা দেখা দিলে নিউইয়র্ক সহ আমেরিকার চল্লিশটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়। ওয়াশিংটন ডিসি সহ পনেরোটি অঙ্গ রাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। ‘আমি শ্বাস নিতে পারছিনা’ – শ্বেতাঙ্গ পুলিশের নারকীয় বর্বরতায় প্রাণ বিয়োগের আগ মুহূর্তে ফ্লয়েডের মুখনিঃসৃত সে আকুতি আজ হাজার হাজার মানুষের কন্ঠে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে, প্রতিবাদ -বিক্ষোভের ভাষা হয়ে।

২০২০ সাল- জীবনে অনেক নতুন অভিজ্ঞতার নাম! ২০২০ সাল ইতিহাস হয়ে থাকবে যতদিন পৃথিবী বাঁচবে। এই বছরটিতে আমি এবং আমরা সকলে অনেক মিশ্র অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। নীরব ঘাতক করোনা ভাইরাসের তান্ডবে বিশ্বের মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে, সঙ্গরোধ হয়ে জীবন কাটাচ্ছে । মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে একজন অন্যজন থেকে। সামাজবদ্ধ হয়ে বাস করা মানুষের জন্য এটি খুব কষ্টের অনুভূতি।

আদিকাল হতে মানুষ মিলেমিশে বাস করতে পছন্দ করে। এভাবে একযোগে গোটা বিশ্বের মানুষ গৃহে অন্তরীণ হয়ে থাকা আগে কেউ দেখি নি। এমন শ্বাসরুদ্ধকর সময় কিংবা কারফিউ আগে কখনো দেখি নি আমি। তবে বাবা-মা আর নানুর মুখে আমার দেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন অবরুদ্ধ দিনগুলোর কথা অনেক শুনেছি।

বিশেষ করে তাঁদের মুখে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের নির্মম ঘটনাগুলো যখনি শুনতাম, তখুনি ভয়ে আমি কুঁচকে যেতাম। মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসেবে নানান সময় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আমার মা কে দীর্ঘ গৃহবন্দি সময় কাটাতে হয়েছে। সে সময়কার মায়ের জীবনের করুণ গল্পগুলো মনে পড়লে এখনো আমার বুক কেঁপে উঠে।

তবে হ্যাঁ, ভয়াবহ পরিস্থিতির গল্প শুনেছি আগে কিন্তু কখনো ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়ি নি এখনকার মতো। ভয়াবহ সময়ের গল্প শোনা বা স্ক্রিনে দেখা, আর ভয়াবহ সময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়ার অনুভূতি সম্পূর্ণ আলাদা। আমার মায়ের মত অতটা মর্মান্তিক না হলেও, বেশ ভীতিকর ভয়াবহ একটা সময় আমিও অতিক্রম করছি এখন।

কথা আছে, যার ঘা তার ব্যথা। ঘা এর তীব্রতা যত বেশি হয় ব্যথার চিৎকার তত প্রবল হয়। দীর্ঘদিন ধরে বর্ণ বৈষম্যের স্বীকার কৃষ্ণাঙ্গদের বুকের ভেতর পুষে রাখা পুঞ্জীভূত ক্ষোভ, আজ দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। তাঁদের সঙ্গে অধিকার আদায়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শ্বেতাঙ্গ মানুষেরাও যোগ দিয়েছে প্রতিবাদ বিক্ষোভে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় জাত- বর্ণ- ধর্ম- গোত্র ছাড়িয়ে সব কিছুর উপরে মানুষ সত্য ।

মানুষের বুকে মানবতা বোধ জাগ্রত হলে অচিরেই ঘুচে যাবে পৃথিবী নামক গ্রহটির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়া কুৎসিত সব বিভৎসতা। মানুষের বুকে মানবতা জেগে উঠলে যুক্তরাষ্ট্র তথা গোটা বিশ্বের শরীরে পচন ধরা জায়গাগুলো সুস্থ হয়ে উঠবে শীঘ্রই। মানুষ এখন আর কোন সুনির্দিষ্ট জায়গার অধিবাসী নয়, একজন মানুষ এখন গোটা পৃথিবীর নাগরিক।

আমেরিকার মিনেসোটা রাজ্যের শ্বেতাঙ্গ পুলিশের অসুস্থতা যেমন চোখের পলকে সংক্রমিত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে, তেমনি বাংলাদেশ কিংবা অন্য যে কোন দেশের দুঃসংবাদ, ব্যাধিও দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। মানুষের শরীরের একটি অঙ্গ অসুস্থ হলে যেভাবে পুরো শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে, তেমনি পৃথিবীর একটি দেশ অসুস্থ হলে গোটা পৃথিবীর শরীর খারাপ হয়ে পড়ে।

সাদা কে সাদা আর কালোকে কালো বলার সততা মানুষ যত দ্রুত অর্জন করবে, তত দ্রুত পৃথিবী সুস্থ হয়ে উঠবে, সঙ্গে মানুষ প্রজাতিও সুখে থাকবে। জীবনের চলতি পথে খারাপ মানুষ যেমন আছে তেমনি ভালো মানুষও আছে। আমরা শুধু বুঝতে পারিনা কখন শ্বেতাঙ্গ ডেরিক শভিনের মত খারাপ মানুষের সঙ্গে দেখা হয়ে প্রাণ দিতে হয় কৃষ্ণাঙ্গ মানুষ জর্জ ফ্লয়েডকে। যা সত্যিই অমানবিক। মানবিক বোধ সম্পূর্ণ কোন মানুষ এমন জঘন্য অপরাধ মেনে নিতে পারবে না, পারে নি।

ফ্লয়েডের মৃত্যুতে গোটা আমেরিকায় বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে। তাঁর হত্যার বিচার চেয়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে শ্লোগানে শ্লোগানে কাঁপছে শহরগুলো। যুগ যুগ ধরে নিপিড়ন, বৈষম্য, অসমতা, সহিংসতা সহ্য করতে করতে কৃষ্ণাঙ্গদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে। তাঁদের বুকে দ্রোহের আগুন জ্বলছে। কালো রঙের কারণে সবখানে প্রতিপদে প্রতিনিয়ত তাঁদেরকে ভুগতে হয়। তাঁরা পিছিয়ে পড়ে। মানসিক প্রশান্তি মানুষকে দীর্ঘদিন বাঁচিয়ে রাখে।

জীবনভর অশান্তি, অবিচারে ভুগতে থাকা কৃষ্ণাঙ্গ মানুষদের গড় আয়ুও শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় কম। প্রশাসন পর্যন্ত তাঁদের প্রতি সদয় আচরণ করে না। বিক্ষোভ প্রতিবাদের আজ নবম দিন অতিবাহিত হচ্ছে। পুলিশ, ন্যাশনাল গার্ড, মিলিটারি দেখছি, কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁদের দাবী মেনে নিয়ে সমস্যার সমাধানে কাউকে আন্তরিক ভাবে এগিয়ে আসতে দেখলাম না ; যে প্রতিশ্রুতি কৃষ্ণাঙ্গদের একটু শান্তি দিবে, তাঁদের বুকে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনকে প্রশমিত করবে।

তবে আনন্দের সংবাদ হলো, কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকার আদায়ের প্রতিবাদে শ্বেতাঙ্গরাও সমানভাবে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। লক্ষ্য করলাম শ্বেতাঙ্গদের বেশীরভাগ -ই তরুণ প্রজন্মের, যা আশার আলো দেখায় পৃথিবীকে। হয়ত এই তরুণদের হাত ধরেই শত শত বছরের অন্ধকার অধ্যায় বর্ণবাদের ঝড় থামবে চিরতরে, শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যকার বিভাজন ঘুঁচে যাবে শীঘ্রই।

সাধারণ মানুষগুলো নিরীহ প্রকৃতির হয়। তাঁরা শান্তিতে বসবাস করতে পছন্দ করে। তাঁদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলেই শুধু গর্জে উঠে। কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতিবাদ বিক্ষোভের যে দৃশ্য আজ পৃথিবী দেখছে, এটি তাঁদের শত শত বছরের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।

গত কয়েক মাসে করোনা ভাইরাসের আধিপত্যের কাছে, এমনিতেই মানুষ ও পৃথিবী অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে। আমাদের ভালোবাসার পৃথিবীটা আর আগের মত নেই। মানুষগুলো বিবিধ সমস্যায় জর্জরিত। শান্তি নেই, সুস্বাস্থ্য নেই। পদে পদে অবিশ্বাস, অনাস্থা বাসা বেঁধেছে। আমাদের পরিসর ছোট হতে হতে পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। মানুষ প্রজাতি আজ মুক্তির তরে গুমরে মরছে। চাকরি নেই, কর্মসংস্থান ধসে পড়েছে।

একেকটি মানুষ একেক রকম অসহায়ত্ব বুকে নিয়ে ভেতরে ভেতরে জ্বলেপুড়ে যাচ্ছে। বাইর থেকে তাদেরকে ছাইএর মত নিরুত্তাপ মনে হলেও, ভেতরে তাঁরা জ্বলছে। জর্জ ফ্লয়েডের মতো আমি/ আমরাও যেন এখন শ্বাস নিতে পারছি না। আমাদেরও তাঁর মতো শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে ক্রমশ।

এত এত ঝড়ের মধ্যেও ভালো লাগছে এই ভেবে যে, আমেরিকান নাগরিক হিসেবে মুক্তো বাতাসে শ্বাস নেয়ার অধিকার চেয়ে রাস্তায় নেমে চিৎকার করে বলতে পারছি আমার অধিকারের কথা, যে সুবিধাটুকু পৃথিবীর অনেক দেশের মানুষ পায় না। এটাই হলো আমেরিকার গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।

যে কোন বৈষম্য ও অমানবিকতার বিরুদ্ধে মানুষ হিসেবে প্রতিবাদ জানাই। কোভিড -১৯ এ এমনিতেই আমরা পিছিয়ে পড়েছি। মানুষের মেরুদণ্ড ভেঙে পড়েছে। ফ্লয়েড হত্যার বিচার চাই। মনুষ্যত্বের মুক্তি চাই। কিন্তু ফ্লয়েড হত্যার পরবর্তী সময়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ বিক্ষোভে যে লুটপাট, দাঙ্গা, সহিংসতা শুরু হয়েছে তা কোনভাবেই সমর্থন করছি না। কারণ, এতে শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বর্ণবাদ চিরদিনের জন্য নিপাত যাক। সুসভ্য হোক পৃথিবীর প্রতিটি জনপদের মানুষ। বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধাপূর্ণ লাল সালাম। প্রতিটি মানুষ মাথা উঁচু করে সমান্তরালে বাঁচুক। ধর্ম-বর্ণ-জাত- গোত্র নয়, পৃথিবীটি হোক শুধুই মানুষের বাসভূমি । মানুষ প্রজাতি বড্ড ক্লান্ত হয়ে পড়েছে । প্রার্থনা করি সকল ঝড় থেমে পৃথিবীতে শান্তি ফিরে আসুক।

(লেখাটি নিউইয়র্ক থেকে ‘সাপ্তাহিক বাঙালী’ তে প্রকাশিত হয়েছে)

Advertisement
উৎসPoly Shahina
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরের সিংড়ায় রাস্তা নিয়ে দ্বন্দে সংঘর্ষ, আহত ৫, আটক ২
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষ, মাইক্রোবাস চালক নিহত

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে