গুরুদাসপুর সংবাদদাতা, নাটোর কণ্ঠ: নাটোরের গুরুদাসপুরে নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্ত্রী। রোববার সকাল ১১টায় উপজেলার পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারের বাসিন্দা মোঃ ইসাহকের কন্যা সাবিনা ইয়াসমীন ইলা(৩২) তার স্বামী ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর শাখার ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নির্যাতিত স্ত্রী ইলা জানান, আমার স্বামী আমাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতো। ২০১০ সালের ১৯ মার্চ বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের সময় নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ১৫ ভরি সোনার গহনাসহ ঘরসাজানোর আসবাবপত্র যৌতুক দিয়েছিলেন আমার বাবা। কিছুদিন পরই ওই গহনাগুলো বিক্রি করে দেয় ব্যাংক কর্মকর্তা আমার স্বামী আব্দুল আজিজ। ঢাকায় অবস্থানের সময় একটি ফ্লাট কেনার জন্য ৫০ লাখ টাকা দাবী করে আমার কাছে। তার দাবী পূরণ না করায় নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় আমার ওপর। গত ২৪ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ২৬ জুন ২০১৯ ইং তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা ২০০০(সংশোধনী/০৩ এর ১১ গ) যাহার নং ৪০ হাজিরা দিতে গেলে তার স্বামী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজকে গ্রেফতার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগাড়ে পাঠান ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল আদালত। এ যাবৎ তাকে তিনবার আটক করা হলেও আর্থিক সুবিধা দিয়ে বের হয়েছেন তিনি। আমার কাছে আট বছরের ১ পুত্র সন্তান আছে। আমি এখন আমার বাবা ইসাহক আলীর বাড়ি গুরুদাসপুর পৌর শহরের চাঁচকৈড় বাজারে অবস্থান করছি। তবে এরকম ঘটনা অনেক বার ঘটার পরেও ইসলামী ব্যংক কর্তপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। উল্লেখ্য ঢাকায় অবস্থান করার সময় একটি ভাড়া বাসায় ওই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এনিয়ে ঢাকার কদমতলি থানায় মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতীতা নারী ইলা।
২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় সাংবাদিকদের ওই পরিবার জানায়,নির্যাতনকারী ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল আজিজের বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নের চরকুশাবাড়ি গ্রামে। তিনি ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’ ঢাকার মতিঝিল লোকাল শাখায় কর্মরত ছিলেন নারী নির্যাতন মামলায় কয়েক মাস জেল খাটার পরেও তিনি মুঠোফোনে প্রতি নিয়ত বিভিন্ন নম্বর থেকে হত্যার হুমকী দিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে আমি গুরুদাসপুর থানায় জিডিও করেছি। তার পরও থামছেনা হুমকী। বর্তমানে তিনি ইসলামী ব্যাংক সুনাম গঞ্জের জগন্নাথপুর শাখায় কর্মরত আছেন
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ‘ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড’ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর শাখার ব্যাংক কর্মকর্তা নির্যাতিত স্ত্রী ইলার স্বামী আব্দুল আজিজের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
ব্যবস্থাপক মো.শহিদুল্লাহ জানান, আমার ষ্টাফের বিরুদ্ধে কোন মামলা হলে সেটা আদালত বিচার করবে। হুমকীর বিষয়ে তিনি বলেন কে হুমকী দিয়েছে আপনী বলতে পারবেন? আমার স্টাফ যে হুমকী দেয়নি আপনী বলতে পারবেন? তখনি ফোন কেটে দেন তিনি।