নাটোরের গুরুদাসপুরে গুলি,ভাংচুর,লুটপাট, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মানববন্ধন

0
658
gurudaspur--samabesh

গুরুদাসপুর প্রতিনিধি, নাটোরকন্ঠ
নাটোরের গুরুদাসপুরে ত্রাণ বিতরণকে কেন্দ্র করে গুলি ছুড়ে ত্রাস সৃষ্টি করে যুবলীগ নেতার বাড়িঘর ভাংচুর-লুটপাটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতিনের নাম অন্তর্ভুক্ত, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মামলার অন্য আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী উঠেছে। এ দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছেন ওই ইউনিয়নের ঝাউপাড়া- বিন্নাবাড়ি গ্রামের নানা শ্রেনি পেশার মানুষ। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঝাউপাড়া বাজারে ওই কর্মসুচীর আয়োজন করে স্থানীয় এলাকার মানুষ। পুরুষদের পাশপাশি নারীরাও অংশ গ্রহন করে সমর্থন জানান।
ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিক বীজ ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফজলু সরদারের বাবা ও মামলার বাদী মো. ইসমাইল সরদার ওই কর্মসুচীতে সভাপতিত্ব করেন। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য (২নম্বর ওয়াড) আবু সাইদ, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মানিক মিয়া ও সাধারন সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ ও সভাপতি মো. মাহাতব উদ্দিন প্রমূখ।
ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলে ফজলু সরদার একজন ব্যবসায়ী। ঈদের দিন নিজস্ব তহবিল থেকে ৩০০ গরিব মানুষকে ঈদ সামগ্রী বিতরন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চেয়ারম্যান সমর্থকরা। পর দিন মঙ্গলবার (২৬ মে) চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন তাঁর সমর্থকদের নিয়ে তার ছেলেও ওপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে তাঁর ছেলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতেই তাঁর সমর্থকরা ৬-৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেন। এক পর্যায়ে তার বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
এনিয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে প্রধান করে ২৫জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭০-৮০জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু থানা পুলিশ চেয়ারম্যান মতিনের নাম বাদ দিয়ে তাঁর ছেলেকে প্রধান আসামী করে মামলা রেকর্ড করেন। এঘটনার প্রতিবাদেই এলাকার মানুষকে নিয়ে মানবন্ধন কর্মসুচীর মাধ্যমে প্রতিবাদ করা হচ্ছে।
বীজ ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি বজলুর সরদার অভিযোগ করেন ঘটনার পর থানা পুলিশ চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে দেয়। কিন্তু ওই দিন রাতেই ছাড়া পান চেয়ারম্যান। সর্বশেষ মামলা থেকেও বাদ দেওয়া হয় চেয়ারম্যান মতিনের নাম। চেয়ারম্যান মামলায় আসামী না থাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ আসামী গ্রেপ্তারে প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তাঁরা।
ইউপি সদস্য আবু সাইদ অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান আব্দুল মতিনের ভয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যেতে পারছেন না তিনি। মিথ্যা মামলায় হয়রানী করা হচ্ছে তাঁকে। চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে গুলি ছুড়ার ঘটনা ঘটলেও অস্ত্র উদ্ধার ও চেয়ারম্যানকে মামলায় আসামী করছেনা পুলিশ। একারনে এলাকার সাধারন মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানের নাম অর্ন্তভূক্তকরে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে এলাকার মানুষ।
এব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন দাবী করে যুবলীগ নেতা ফজলু সরদারের রোষানল থেকে তাঁর উদ্ধার করতে তাঁর সমর্থকরা ঝাউপাড়া গ্রামে গিয়েছিলেন। বিক্ষিপ্ত সমর্থকরা তাদের বাড়ি তছনছ করলেও গুলি ছুড়া বা লুটপাটের ঘটনা ঘটেনি।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ায় চেয়ারম্যানের নাম মামলায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়নি। গেল এক সপ্তাহে ১০জন আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। কৌশলগত কারনে অস্ত্র উদ্ধারের ধীরগতি অনুসরণ করা হচ্ছে।#

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরে গৃহবধূর সাথে অবৈধ সম্পর্ক, ছাত্রলীগ নেতাকে বিয়ে দিল এলাকাবাসী
পরবর্তী নিবন্ধনাটোর হাসপাতালের ৬০৪ পিস সরকারী ঔষধ আরএমওর দুই স্বজনের কাছে থেকে উদ্ধার

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে