নলডাঙ্গা (নাটোর) সংবাদদাতা
করোনার প্রভাবে নাটোরের নলডাঙ্গায় ১৫০ বছরের পুরানো উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ পিতলের রথযাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলার পশ্চিম মাধনগরে সকাল থেকে জগনাথ দেবের পুর্জা অর্চণা ও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ১৫০ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনমত পিতলের রথযাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল।ঐতিহ্যবাহী এ রথযাত্রায় অংশ নিতে আশে পাশের জেলা ও উপজেলা থেকে শত শত ভক্তদের আগমনে মুখোর থাকতো এলাকাটি।কিন্ত করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরুত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করা যাবে না বলে এবার রথযাত্রা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্দির কমিটি।তবে সীমিত পরিসরে জগনাথ দেবের পুজা অর্চণা করা হচ্ছে।
পশ্চিম মাধনগর রথবাড়ির মন্দির কমিটির সভাপতি পিন্টু অধিকারী জানান,উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ প্রাচীনতম পিতলের রথটি ১৮৬৭ সালে পাবনার দিলালপুরের জমিদার যামিনী সুন্দরী বসাক প্রতিষ্ঠা করে নাটোরের জমিদার শৈলবালা ও কালিদাসীকে দান করেন।পিতলের রথটির উর্চ্চতা ২৫ ফুট,বেদির আয়তন ১২ বর্গফুট,১২ টি চাকা,আর চাকার ভিতরে রয়েছে লোহার পাত,১২ টি কোণ এবং রয়েছে ১১২ টি পিলার।প্রতিবছর আষাঢ় মাসের তিথি অনুযায়ী রথযাত্রা উপলক্ষে মেলা ও পুজা অর্চনা হতো।
বীরকুৎসার জমিদার বাড়ির হাতি এসে পিতলের রথটি টানার কাজ করতো।১৮৬৭ থেকে ১৯৪৭ সাল পযন্ত রথবাড়ির যাবতীয় খরচ আসতো পাবনার যামিনী সুন্দরীর স্টেট থেকে।দেশ বিভাগের পর এখানে সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ ছিল।রথটির এখানে ১৫ বিঘা জমি রয়েছে।পরে ২০১২ সাল থেকে মদনমহন বা জগনাথ দেবের মন্দির কমিটি আবারোও রথযাত্রা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের পুজা অর্চনা শুরু করে।করোনা সংক্রমণ রোধে ও স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা যাবে না বলে রথযাত্রা এবার স্থগিত করে সীমিত পরিসরে পুজা অর্চনা শুরু করা হয়েছে।সেখানে কোন আনুষ্ঠানিকতা না থাকায় ভক্ত অনুসারীদের আগমন ছিল না।