নাটোরের বনপাড়ায় মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন, জীবনের নিরাপত্তা দাবী

0
605

নাটোর কণ্ঠ:

নাটোরের বড়াইগ্রামে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আল আমিন হক বাবু নামে এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় হাত পা বেধে নির্যাতন করায় বর্তমানে সে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইটি কিডনিতে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এদিকে এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পর দুজন আসামী আটক হলেও তারা জামিনে এসে ও অন্যান্য আসামীরা আটক না হওয়ায় প্রকাশ্যে ওই যুবকের পরিবারকে নানা ধরনের হুমকি প্রদান করছে। ফলে জীবনের নিরাপত্তা ও দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই যুবকের পরিবার।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের একটি মিডিয়া হাউজে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আহত আল আমিন হক বাবুর চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মুমিনুল হক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাবুর দুলা ভাই নজরুল ইসলাম , পৌর কাউন্সিলর শরীফুন্নেসা শিরীন ও চাচা সাইফুল ইসলাম।

এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন , বনপাড়া পৌর এলাকার রশিদ ডিলারের মোড়ের আব্দুল আজিজের মেয়ে তাসলিমা খাতুন এর সাথে তার ভাতিজার বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই ওই মেয়ে তার পরিবার প্রতিশোধ প্রবণ হয়ে নানা ভাবে বিভিন্ন কৌশলে বাবুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে। এর পর্যায়ে গত ২৬ আগষ্ট বাবুকে কৌশলে বাড়িতে ডেকে নিয়ে মেয়ের মা সহ পরিবারের লোকজন হাত পা বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় ২ ঘন্টা শারিরিক ও মানসিক নিযার্তন করে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় আমেনা হাসপাতাল ও পরে রামেকে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার দুইটি কিডনি নষ্টের পথে সেখানে সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এ ঘটনায় মামলার পর পুলিশ মেয়ে ও তার মাকে আটক করলেও তারা জামিন পেয়েছে। অজ্ঞাত কারণে অন্য আসামীদের আটক না করায় তারা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে।

বর্তমানে বাবুর চিকিৎসা যেমন হুমকিতে পড়েছে তেমনি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তার পরিবার।
তাই অবিলম্বে আসামীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবী করেন তিনি।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরের সিংড়ায় জমি বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় মা-ছেলে আহত
পরবর্তী নিবন্ধমুক্তিযোদ্ধা চম্পার মৃত্যুবার্ষিকীতে নাটোর বালিকা শিশুসদনে উন্নত খাবার পরিবেশন রত্না এমপির

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে