নাটোরের সাংবাদিক নাসিম উদ্দীন নাসিম কে জেকেজির ডা: সাবরিনার লিগ্যাল নোর্টিশ 

0
1823
Nasim
নাটোরকন্ঠ:- আবারো আলোচনায় বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টুয়েন্টিফোর এর নাটোর প্রতিনিধি এবং  সাংবাদিক নাসিম উদ্দীন নাসিম। করোনা টেষ্ট নিয়ে প্রতারণাকারী কথিত জেকিজির চেয়ারম্যান
ডা. সাবরিনা ফারুক চৌধুরী আইনজীবীর মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছেন। গত ৩ জুলাই সাংবাদিক নাসিম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ” দেশের আলোচিত প্রতারক   জিকেজি র চেয়ারম্যান   ডা. সাবরিনা ফারুক চৌধুরীকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? এ সংক্রান্ত একটি লেখা পোষ্ট করেন। যা ড. সাবরিনার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি  গত ৭ জুলাই   ব্যরিষ্টার সাদিক এসোসিয়েটসের আইনজীবী এডভোকেট খাদিজাতুল কোবরার মাধ্যমে ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠান। নোটিশে বলা হয়, আমার ক্লায়েন্ট ড. সাবরিনা শামরিন হোসেন পিতা মোঃ মোশারফ হোসেন সাং- রোড নং -৫, পিসি কালচার হাউজিং,মোহাম্মদপুর,  শ্যামলী,ঢাকা  একজন সুনামধন্য হৃদরোগ সার্জন।  তিনি দীর্ঘদিন সুনামের সাথে এই পেশায় নিয়োজিত আছেন।   ফেসবুক আইডিতে পোষ্ট করা, “সাবরিনা আরিফ চৌধুরী কেনো গ্রেফতার হলোনা ” শীর্ষক সংবাদের মাধ্যমে তাকে সামাজিক ও পেশাগত ভাবে মান ক্ষুন্ন করা হয়েছে। কেন আপনার বিরুদ্ধে   ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এবং ২৯ ধারা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না নোটিশ পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে জবাব প্রদানের জন্য বলা হলো।
   এ ব্যাপারে সাংবাদিক নাসিম জানান,  সংবাদটির তথ্যসূত্রঃ হিসেবে  দেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ” পূর্ব- পশ্চিম বিডি”র  কথা লিখা থাকলেও তিনি আমাকে নোটিশ পাঠিয়েছেন। করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণাকারী এবং দেশের ভাবমূর্তি  ক্ষুন্ন করার সাথে জিকেজির চেয়ারম্যান ড. সাবরিনা কে গ্রেফতার করায় সরকার প্রধান এবং পুলিশকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ড. সাবরিনাসহ করোনা টেস্টের জালিয়াতকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, জেকেজির চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে রোববার  গ্রেপ্তার করেপুলিশ।  সাবরিনার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীকে যে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে, সাবরিনাকেও সেই একই মামলার আসামি করার প্রক্রিয়া চলছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহ করার চুক্তি করেছিল জোবেদা খাতুন সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা (জেকেজি হেলথকেয়ার) । বাসা থেকে ৫ হাজার থেকে ৮ হাজার ৬০০ টাকার বিনিময়ে তারা নমুনা সংগ্রহ করছিলেন এবং ভুয়া প্রতিবেদন দিচ্ছিলেন।
একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ প্রথমে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে।জালিয়াতির খবর প্রচার হওয়ার পর থেকে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেন। পত্রিকায় বিজ্ঞাপনও দেন।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরির বাইরে তিনি শুধু কিছুদিন ওখানে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়েছেন। জালিয়াতির ঘটনার আঁচ পেয়ে সরে আসেন। নিজেকে বাংলাদেশের প্রথম কার্ডিয়াক সার্জন দাবি করা (আদতে তিনি প্রথম নন) এই নারী পরে নিজের নামও বদলে ফেলেন। আদতে তাঁর নাম সাবরিনা শারমিন হোসেন হলেও তিনি তাঁর স্বামীর উপাধি ব্যবহার করছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের নাম বদলে রাখেন সাবরিনা মিষ্টি চৌধুরী। তিনি স্বামীর বিরুদ্ধে তাঁকে নির্যাতনের অভিযোগও তোলেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসা পেশার বাইরে তিনি ওভাল গ্রুপ লিমিটেড নামে একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্মেরও চেয়ারম্যান ছিলেন। এর প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন আরিফুল হক চৌধুরী।জালিয়াতির মামলায় গ্রেপ্তার বাকি চারজন হলেন হুমায়ুন কবীর, তাঁর স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, সাইদ চৌধুরী ও আলমান।
এর মধ্যে হুমায়ুন ও তানজীনা একসময় জেকেজিতে কর্মরত ছিলেন। এখন তাঁরা নিজেরাই নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা ছাড়াই ফল দেন। বাকি দুজন এখনো জেকেজিতে কর্মরত।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জেকেজি তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জেকেজি ওভাল গ্রুপ অব লিমিটেডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। তারা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ উদযাপনের কাজ পায়। এমনকি পেশাজীবী চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও টাকার বিনিময়ে আয়োজন করত।
Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধক্ষমা করো আমাদের হে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার -ভায়লেট হালদার
পরবর্তী নিবন্ধনির্যাতনের পর গৃহবধূর চুল কাটলেন স্বামী-শাশুড়ি

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে