নাটোরে অ.নৈ.তিক কাজের অ.ভি.যোগে পলাতক শিক্ষক

0
286

নাটোর কন্ঠ : নাটোরে লক্ষ্মীপুর দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (আরবী) মো. আবু সাঈদের বিরুদ্ধে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন এক ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরি চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ওই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন।

এঘটনায় প্রাক্তন ওই ছাত্রীর পরিবার অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক (আরবী) মো. আবু সাঈদের বিচার চেয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার পর থেকে ওই শিক্ষক পলাতক রয়েছেন বলে জানান মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

লিখিতভাবে জানানো অভিযোগে ওই ছাত্রীর বাবা উল্লেখ করেন— আমার মেয়ে লক্ষ্মীপুর দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসার সাবেক ছাত্রী। ওই প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত থাকা সময় থেকে আমার মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে অনৈতিক সম্পর্কের তৈরির চেষ্টা করে আসে শিক্ষক আবু সাঈদ।

কিন্তু তাতে ব্যর্থ হয়ে খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে গত ৮ জানুয়ারি সোমবার দিবাগত রাতে আমার মেয়ের ঘরে প্রবেশ করে শিক্ষক আবু সাঈদ। ওই শিক্ষককে নজরে রাখা স্থানীয়রা বিষয়টি আমাকে জানালে তাদেরকে সাথে নিয়ে ওই শিক্ষককে ঘর থেকে আটক করি। এরপর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনপ্রতিনিধিরা এসে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

তিনি আরো উল্লেখ করেন, এ ঘটনার পর থেকে আমার পরিবার ও মেয়েদের সম্মানহানি হয়েছে এবং তাদের নিয়ে এলাকায় বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি করি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, এই প্রতিষ্ঠানে এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষকরা যদি এমন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে নৈতিকতা শিখবে কোথায় ছেলেমেয়েরা। ঘটনার তদন্ত করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে অতি দ্রুত অভিযুক্ত শিক্ষককে বহিষ্কারের দাবি জানান তিনি।

জহুরুল ইসলাম নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “ঘটনাটি জানাজানি পর প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। কিন্তু ঘটনার বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষককে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। অর্থনৈতিক লেন-দেনের মাধ্যমে একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে’’ বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এবিষয়ে লক্ষ্মীপুর দারুল উলুম আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন বলেন, ১৬ই জানুয়ারি মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ পেয়েছি। এঘটনায় অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক মাদ্রাসায় অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানান তিনি।

মাদ্রাসাটির গভর্নিং বডির সভাপতি আলতাফ হোসেন বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর মাদ্রাসার গভর্নিং বডির মিটিংয়ে ওই শিক্ষককের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। কোনো ভাবেই এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার সুযোগ নেই।’’

এবিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শাহাদুজ্জামান বলেন, “মাদ্রাসার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যদি এমন কার্যকালাপের অভিযোগ উঠে তাহলে মাদ্রাসার গভর্নিং বডি মিটিং করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরে এশিয়ান টেলিভিশনের ১১তম বর্ষপূর্তি উদযাপন
পরবর্তী নিবন্ধমানবিক সিংড়া গড়ার লক্ষ্যে পাঁচটি নীতি অনুসরণ করতে চাই -পলক

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে