নাটোরে এলজিএসপি প্রকল্প তুমি কার ? বিশেষ ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পর্ব -০২

0
1784
l.g.s.p-02

নাটোর কন্ঠ : লোকাল গভর্ন্যন্স সাপোর্ট প্রজেক্ট -০৩ (এলজিএসপি-০৩) বিষয়ে জাতীয় তথ্য বাতায়নের তথ্য বলছে- জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে কার্যকর ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণে সরকারের একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ এলজিএসপি।গত ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া পাঁচ বছর মেয়াদী এ প্রকল্প, শেষ হবে আগামী ২০২১ সালের জুন মাসে। দেশের মোট ৪৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদকে এলজিএসপি এর কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়।

এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয় ৫৫৩৫ কোটি টাকা।এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের ৩১৫৩ কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা ২৩৮২ কোটি টাকা। থোক বরাদ্দের অর্থ সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদের ব্যাংক হিসাবে বরাদ্দ দেয়া হয়, যা দিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন হয়। প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের অধীনে।

এবারে দৃষ্টি দেওয়া যাক নাটোর জেলার চিত্রের দিকে।নাটোর জেলা প্রশাসনের তথ্য বাতায়নে দেখা যায়, জেলায় সর্বমোট ৫২টি ইউনিয়ন রয়েছে।এসব ইউনিয়নে এই প্রকল্পের আওতায় নাটোর জেলায় ৫বছরে সর্বমোট কত টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে? এমন প্রশ্নের উত্তর খুজে পাওয়া অসম্ভব!। কারন উপজেলা ভিত্তিক হিসাব থাকলেও সমগ্র জেলার একসাথে মোট পরিমানের কোন তথ্য নেই! বিষয়টিতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হলেও হিসাব রাখার বা প্রশাসনিকভাবে দেখভালের লোকবল সংকট রয়েছে, বলছেন কর্তাব্যক্তিরা।

লোকাল গভর্ন্যন্স সাপোর্ট প্রজেক্ট -০৩ (এলজিএসপি-০৩) এই প্রকল্পে সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের লোনের অর্থ দিয়ে নাটোরে মাঠ পর্যায়ে কি কি উন্নয়ন হয়েছে? তাই দেখতে নাটোর কন্ঠ অনুসন্ধানে নামে নাটোরের ৫২টি ইউনিয়নে।কিন্তু অনুসন্ধানে নেমেই ধরা পড়ে নাটোর কন্ঠের দৃষ্টিতে বেশকিছু অসংগতি। আমরা চেষ্টা করবো সেসব অসংগতির চিত্র তুলে ধরতে। সেগুলো নিয়ে চলবে আমাদের ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।

০১- জেলার একটি উপজেলার এলজিইডির অর্থায়নে নির্মিত সড়কে দেখা যায় এলজিএসপি প্রকল্পের ফলক লাগানো! তাহলে সেই স্থানে এলজিএসপির বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে কোথায় কি নির্মাণ করা হয়েছে? তারই অনুসন্ধান করবে নাটোর কণ্ঠ।

০২- এদিকে আরকেটি স্থানে দেখা যায় প্রকল্প কর্মকর্তা নিজেই জানেন না তার বাড়ির পাশে নির্মিত পথটি কোন প্রকল্পের? কত টাকা বরাদ্দ? আর কাজটি বাস্তবায়নই বা করছে কে?

০৩- একটি ইউনিয়নে চারটি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় শত ছাত্রীদের মাঝে ন্যাপকিন বিতরণ হয়েছে প্রায় দুই লক্ষ টাকার।তবে সকলেই যে ন্যাপকিন পেয়েছেন এমন কথাও সত্য না।

০৪- করোনাকালীন সময়ে মাক্স বিতরণ করা হয়েছে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার, সেই ইউনিয়নে ২০১১ সালের আদমশুমারীর হিসাব অনুযায়ী  জনসংখ্যা প্রায় ৩০,৭৬৯ জন। তাহলে জনপ্রতি কত টাকার মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে?

০৫- হেরিং বন্ড রাস্তা নির্মাণে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা ব্যয় করে উত্তোলন করা হয়েছে সাত থেকে নয় লক্ষ টাকার অধিক।

প্রিয় পাঠক বিস্তারিতভাবে জানতে সরেজমিন প্রতিবেদন পড়তে চোখ রাখুন নাটোর কন্ঠে বিশেষ ধারাবাহিক প্রতিবেদনের তৃতীয় পর্বে।

চলবে…

bonolota

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরের মিল্লাত হোটেল থেকে লাশ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরকন্ঠে সংবাদ প্রকাশের পর বড়াইগ্রামের বিধবা’র বয়স্কভাতা পূনরায় প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া শুরু

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে