নাটোরে চেয়ারম্যানের অনিয়মে টিসিবি পণ্য পাচ্ছেনা সুবিধাভূগীরা

0
327

নাটোর কন্ঠ : ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)‘এর কার্ড থাকা শর্তেও বারবার ইউনিয়ানে আসারপরও টিসিবির পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ সুবিধাভূগীদের। তবে ইউপি সদস্যরা বলছেন- চেয়ারম্যানের নিজস্ব লোকদেরকেই কার্ড তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

চেয়ারম্যান, কার্ড বিতরণে অনিয়মের কথা অস্বীকার করে, টিসিবির পণ্য বিতরণ না হওয়ার দায় চাপাচ্ছেন, প্রশাসনের কাঁধে। এদিকে ডিলাররা বলছেন- উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশ পেলেই বিতরণ করা হবে পণ্য। আর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে প্রশাসন বলছেন- বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না।

নাটোর সদর উপজেলার ৪ নং লক্ষীপুর খোলাবারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অর্ধশত সুবিধাভোগীরা হট্টগোল করছেন। তাদের প্রত্যেকের অভিযোগ চলতি মার্চ মাসের ১২ তারিখে পন্য সরবরাহ করার কথা থাকলেও আজ অব্দি তা বিতরণ করা হয়নি।

কবে নাগাদ পণ্য সরবরাহ করা হবে তার কোন সঠিক দিন বলছে না ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য সহ সংশ্লিষ্টরা। রমজান মাসে রোজা রেখে তারা দফায় দফায় এসে পণ্য না পেয়ে সময় এবং অর্থ ব্যয় করে চলে যাচ্ছেন বাড়িতে।

৪ নং লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪, ৫ ও ৬ সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য, রাশিদা বেগম বলেন, “মোট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬ শত। এরমধ্যে চেয়ারম্যান একাই ১ হাজার কার্ড নিজের স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করেছেন।

আর আমরা ১২ জন ইউপি সদস্যদের ৫০ টা করে ৬ শত কার্ড বরাদ্দ দিয়েছেন। সেই ৬ শত কার্ড আমাদেরকে না দিয়ে, চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশের হাত দিয়ে বিতরণ করেছেন। আমাদেরকে বরাদ্দ কম দেওয়া হয়েছে। আবার ভোটারদের থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।

৪ নং লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালু, কার্ড বিতরণে অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, “টিসিবির পণ্য গুদামে পড়ে আছে। উপজেলা প্রশাসনের উপস্থিতিতে পণ্য বিতরণের কথা ছিল। উপজেলা প্রশাসন না আসায় বিতরণ করা হচ্ছেনা। আর ডিলার বলছেন বিতরণ করার অনুমতি নেই।”

লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের টিসিবির ডিলার মো. রাসেল আহমেদ বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসের ২০ তারিখে টিসিবির পণ্য রাজশাহী আঞ্চলিক অফিস থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। চলতি মার্চ মাসের ১২ তারিখে তা বিতরণ করার কথা ছিল। এখন উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি পেলেই বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।’’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতার জাহান সাথীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ” আমি সবে মাত্র সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছি, এ বিষয়ে আমি অবগত না। বিষয়টি জানলাম। অতি দ্রুত সুবিধাভূগীদের পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, “বিষয়টি জানা ছিল না, সুবিধাভোগীরা যাতে অতি দ্রুত টিসিবির পণ্য পায়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধহ.ত্যা মামলার ২২ বছর পর প.লা.তক আ.সা.মি গ্রে.ফ.তার
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরে ২য় বারের মতো শ্রেষ্ঠ সার্জেন্ট মামুন অর রশিদ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে