ধারাবাহিক প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্ব
নাটোর কণ্ঠ : অনেক চেষ্টা আর অভিযান করেও নাটোরে আবাদি জমিতে থামানো যাচ্ছে না পুকুর খনন।ফলে খননকৃত পুকুরের পাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারণে অন্যান্য আবাদি জমি হচ্ছে পতিত।পুকুর খননকারীরা বলছেন সর্বমহল ম্যানেজ করেই খনন করা হচ্ছে পুকুর।তবে এর দায়ভার কাঁধে নিচ্ছেন না কেউ।
আর পুকুর খনন বন্ধে উদ্যোগ নিচ্ছে না কোনো মহল, অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের। মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাছের দাম কমে যাওয়ায় ব্যবসার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ! যত পুকুর খনন করা হচ্ছে অচিরেই বন্ধ করতে হবে এই পুকুর। তখন পুকুর ভরাট করতে মাটি পাওয়া যাবে কোথায় ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন জমির ফসল উৎপাদনের উপযোগী হতে প্রায় আড়াই লাখ বছর সময় লাগে ।
ট্রাক্টর শ্রমিকরা বলছেন, দীর্ঘ নয় মাস করোনাকালীন সময়ে তারা পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন সবেমাত্র তারা কাজে লেগেছেন এমত অবস্থায় পুকুর খনন বন্ধ হলে পরিবার নিয়ে তারা দুর্বিষহ জীবন যাপন করবেন।
সরেজমিনে দেখা যায় নাটোর সদর উপজেলার ২ নং তেবাড়িয়া ইউনিয়নের জংলি এলাকায় আবাদি জমিতে চলছে পুকুর খনন। খননকারী মো. মিজানুর রহমান নাটোর কণ্ঠকে জানান, নাটোর জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির মাধ্যমে প্রশাসনের অনুমতিক্রমে খনন করা হচ্ছে পুকুর।
বাগাতিপাড়া উপজেলার ৩ নং বাগাতিপাড়া ইউনিয়নের কাকফু গ্রামের কালির মোড় এলাকায় ফসলি জমিতে চলছে পুকুর খনন। পুকুর খননকারী মো. আক্তার হোসেন নাটোর কণ্ঠকে জানান, জমি এম এন টি ইটভাটাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে তারা আমাকে পুকুর তৈরি করে দেবেন বিনিময় তারা মাটি নিয়ে নিবেন।
এ ব্যাপারে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবর রহমানের ০১৭১০৬০২৬১১ এই নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি নাটোর কণ্ঠকে জানান, ইটভাটা মালিক সমিতির মাধ্যমে ডিসি স্যারের অনুমতি নিয়ে খনন করা হচ্ছে পুকুর।
গ্রামীণ সড়কে বিপুল পরিমানে মাটি ভর্তি ট্রাক্টার চালায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক। চলাচলে ঘটছে বিঘ্নতা। সড়কের মাঝে যত্রতত্রভাবে যেখানে সেখানেই পড়ে আছে মাটি, ফলে পথচারীরা আশঙ্কা করছে সামান্য বৃষ্টিপাত হলে অনুপযোগী হয়ে যাবে চলাচলের।
চলবে…