নাটোর কন্ঠ : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোরের ৪টি আসনে মোট ৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।তবে জেলায় এসব প্রতিষ্ঠানের একটিরও অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করা এনজিওগুলোর কর্তব্যক্তিরাও শোনেননি এসব প্রতিষ্ঠানের নাম। আজ সকাল থেকে নাটোর জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও শহর ঘুরে এসব প্রতিষ্ঠানের পরিচয় ও অবস্থান সনাক্তে খোঁজ করা হয়।
এসব প্রতিষ্ঠানগুলো সার্ভিসেস ফর ইকুইটি এন্ড ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট(সীড), বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন,ডেভলপমেন্ট হেলপিং কি, জানিপপ,সুফিয়া-হানিফ ফাউন্ডেশন,পিপলস এসোনিয়েশন ফর স্যোশাল এডভান্সমেন্ট (পাশা) ,রাজারহাট স্বাবলম্বী শাখা,প্রকাশ গণ কেন্দ্র এবং বিয়ান মনি সোসাইটি।
নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষণ তালিকা সূত্রে জানা যায়, নাটোরের ৪টি আসনে ঘুরেফিরে এই ৯টি প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষক হিসেবে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
প্রায় দুই দশক ধরে নাটোরে কাজ করা এনজিও আলোর চেয়ারম্যান শামীমা লাইজু নীলা বলেন, কমিশনের অনুমতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কোন অস্তিত্ব নেই।কখনো নামও শুনিনি।কার্যালয় কোথায় তাও জানিনা।
জেলার অন্যতম এনজিও খান ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা প্রায়ই তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো মিলিত হই এমনকি ডিসি অফিসেও মাসিক সভা হয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাউকে কখনোই দেখিনি।নামও শুনিনি।
সচেতন নাগরিক কমিটির সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, অনেকেই আমাদের কাছেও এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়েছেন।প্রকৃতই যারা পর্যবেক্ষণের অনুমতি পেতে পারে তারা এ তালিকায় নেই।এতে বোঝা যাচ্ছে যারা এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত তাদের অন্যরকম উদ্দেশ্য থাকতে পারে।ভালো প্রতিষ্ঠান পর্যবেক্ষণ তালিকায় না থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু করার উদ্দেশ্য ব্যর্থ হতে পারে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে জেলা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রশাসক আবু নাছের ভুঁঞা জানান, “এটা আমাদের দায়িত্ব না। পর্যবেক্ষক নিয়ন্ত্রণ করেন নির্বাচন কমিশন। যাদের কে পর্যবেক্ষক করা হয়েছে তারা পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ করে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।”