নাটোর কণ্ঠ: নাটোরে আজও ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাটোরের সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান। এরমধ্যে নাটোর সদরে রয়েছে ৪ জন ও সিংড়া, লালপুর ও বাগাতিপাড়া উপজেলায় রয়েছে ১ জন করে। এ নিয়ে নাটোর জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৬৪ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাটোরের সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান।
নাটোর সদর উপজেলার চারজনের মধ্যে একজনের বাড়ি উপজেলার চাঁদপুরে, তিনি পাবনায় পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মরত রয়েছেন, অপরজন কাপুড়িয়া গ্রামীণ ব্যাংকের পিয়নের হিসেবে কর্মরত রয়েছেন, অপর দুইজনের বাড়ি মিরপাড়া ও তাবারিয়া এলাকায়। এদিকে নাটোরের লালপুরে সালামপুর গন্ডবিল এলাকার এক স্বাস্থকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া বাগাতিপাড়ার ভীতর ভাগের একজন ও সিংড়া উপজেলার দক্ষিণ দমদম আর একজন আক্রান্ত হয়েছেন।
নাটোরে দ্রুত বাড়ছে করোনায় আ্রকান্তের সংখ্যা। নুমনা পরীক্ষার জটিলতা তার মধ্যে অন্যতম কারণ মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় দ্রুত নমুনা পরীক্ষা এবং আক্রান্তদের শানাক্ত করে আলাদা করে ফলতে না পারলে সামাজিক পর্যায়ে ভয়াবহভাবে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নাটোর সিভির সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায় , গত কাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমান রয়েছে ৪৬০টি নমুনা। এসব নমুনা পলীক।ষা শেষে হতে না হেতই নতুন করে আবার নমুনা জমা হচ্ছে। ফলে রিপোর্ট পেতে দেরী হচ্ছে। ফলে অনেকে করোনা পজেটিভ হওয়া সত্বেও রিপোর্ট না পাওয়ায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমন। ।
এ বিষয়ে নাটোরের সিভিল সার্জন ডাঃ কাজী মজিানুর রহমান জানান,আমরা নিয়মিত নমুনা সংগ্রহ ও তা পরীক্ষার জন্য রামেকে প্রেরন করছি। এখন পরীক্ষা করার বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। কারণ নাটোরে কোন পিসিআর ল্যাব নেই। সুতরাং এখানে পলীক্ষা করানোর কোন সুযোগ নেই।
অভিযোগ রয়েছে রাজশাহী ল্যাবে ভিআইপি ও ভিভিআইপিদের গুরুত্ব দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। ফলে সাধারণ ব্যক্তিদের নমুনার ফলাফল পেতে দেরী হচ্ছে। অপরদিকে শনাক্ত না হওয়ায় করোনায় আ্রকান্ত ব্যক্তিরা সর্বত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে সামাজিক কম্উিনিটিতে এ রোগ বিস্তার লাভ করছে। যা আমাদের সকলের জন্য ভয়ঙ্কর। সৃষ্টি হচ্ছে সমাজের নানা স্তরে আতঙ্ক। এ বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকারও করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য।
তিনি বলেন, রাজশাহী বিভাগের মোট ৫টি ল্যাবে নমুনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। বর্তমানে রাজশাহী দুটি ল্যাবে রাজশাহী ,নাটোর, পাবনা, নওগাঁ ও চাপাইনববাগঞ্জের নমুনার পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু যে পরিমাণ নমুনা আমাদের কাছে আসছে তা দিনের দিন পরীক্ষ করার সামর্থ্য আমাদের নেই। তাই সক্ষমতার অতিরিক্ত নমুনা ঢাকায় আরও দুটি ল্যাবে পাঠাতে হচ্ছে আমাদের । ঢাকায় নমুনা পাঠিয়ে সেখান থেকে রিপোর্ট আসতে সময় লাগছে ৭ থেকে ১০ দিন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দফতর সূত্রে জানা যায়, রাজশাহী বিভাগের আট জেলা থেকে প্রতিদিন ১২শ’ থেকে ১৪শ’ নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। কিন্তু বিভাগের ৪টি সরকারি ও ১টি বেসরকারি ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা মাত্র ৫৫০টি। ফলে উদ্বৃত্ত নমুনাগুলো ঢাকার জাতীয় ইন্সটিটিউট অব মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চ ল্যাবরেটরি ও প্রাণিসম্পদ গবেষণাগার ল্যাব সাভারে পাঠানো হচ্ছে।
নাটোর সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা যায়, নাটোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে পাঠানো ৯টি, নাটোর সদর হাসপাতালের ৭৬টি, সদর উপজেলার ৭২টি, সিংড়া-২৫টি, বাগাতিপাড়া ৪৮টি, গুরুদাসপুর ৪৮টি, লালপুর ৯৬টি এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার ৮৬টি নমুনা পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমান লয়েছে।