নাটোরে প্রায় প্রতিদিন ঘটছে অগ্নিকাণ্ড. প্রয়োজন এখনই সর্তকতা

0
301
আগুন
নাটোরকন্ঠ:
নাটোর জেলা জুড়ে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে একাধিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। গত তিন দিনে জেলায় প্রায় ২৫ টি বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে সব কটি পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। আর এসব অগ্নিকাণ্ড ঘটছে আমাদের অসকর্তা আর অজ্ঞতার কারণেই। আর এই অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছে পরিবারগুলো।
মরছে পশুপাখি কখনো কখনো মানুষের প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটেছে ইতোপূর্বে। অথচ একটু সতর্কতা আমাদের রক্ষা করতে পারে এই অগ্নিকাণ্ড থেকে। তাই এখনই সচেতনতার প্রয়োজন। কোন অবহেলা নয় সতর্কতা আর সচেতনতাই পারে অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচাতে। একদিকে করোনা আতঙ্কে আমরা সবাই নাজেহাল অপরদিকে কোননা কোন স্থানে ঘটছে অগ্নিকাণ্ড। এমতা অবস্থায় সতর্কতা না হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
প্রায় প্রতিক্ষেত্রে শোনা যায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত, অথবা রান্নাঘর থেকে কিংবা মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে। এছাড়া গোয়াল ঘর থেকে মশা তাড়ানোর সাজাল থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের বিভিন্ন নিয়ম কানুন গুলো মেনে চললে অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে আমরা বাঁচতে পারি। শহরের দোকানপাট গুলোতে প্রাথমিক অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র গুলো থাকা প্রয়োজন সেগুলো আপডেট রাখা।
যাতে বিপদের সময় সেগুলো কাজে লাগানো যায়। পুরাতন বৈদ্যুতিক লাইন গুলো পাল্টে ফেলুন, আর না পারলে অন্ততপক্ষে ইলেকট্রিশিয়ান দেখিয়ে নিন। বিশেষ করে এসি, রেফ্রিজারেটর, ফ্যান, লাইন সহ গুরুত্বপূর্ণ লাইন গুলো চেকআপ রাখুন। মশা তাড়াতে কয়েল এর বিকল্প হিসেবে অ্যারোসল অথবা মশারি ব্যবহার করুন। রান্নার পর চুলার আগুন পানি দিয়ে নিভিয়ে ফেলুন। অথচ এই বিষয়টি অনেকে মানেন না। গ্রাম অঞ্চলে চুলা ভালো করে নেভানো হয় না। পশুর ঘরে কয়েল অথবা সাজাল জ্বালালে সেটা নিরাপদ দূরত্বে রাখুন এবং নিরাপদ ভাবে দিন যাতে কোনভাবে অগ্নিকাণ্ড না ঘটে। আর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা যদি ঘটেই যায় দ্রুত নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিসকে ফোন দিন।
এছাড়া নিন্মের বিষয় গুলো খেয়াল রাখুন

যেসব কারণে আগুন লাগতে পারে :

* বৈদ্যুতিক গোলযোগ ও ত্রুটিপূর্ণ তার থেকে।
* সিগারেটের জ্বলন্ত আগুন থেকে।
* ভালোভাবে গ্যাসের চুলা বন্ধ না করা এবং গ্যাস লাইনে ত্রুটি বা ছিদ্র থাকলে।
* উত্তপ্ত তেল থেকে।
* বজ্রপাতের কারণে।
* আতশবাজি বা পটকা থেকে।
* নিম্নমানের বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করলে।
* সাধারণ তার দিয়ে বেশি ভোল্টের বিদ্যুৎ ব্যবহার করলে।
* চুলা জ্বালিয়ে ওপরে কাপড় শুকাতে দিলে।
* আগুন নিয়ে বাচ্চাদের খেলা করতে দিলে।

যে সকল বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে :

* রান্নার পর চুলা সম্পূর্ণভাবে নিভিয়ে রাখুন।
* ভেজা কাপড় চুলার ওপর শুকাতে দিবেন না।
* গ্যাসের চুলা জ্বালানোর ১৫ মিনিট আগে রান্নাঘরের সকল দরজা জানালা খুলে দিন।
* গ্যাসের চাবি অন করার আগে ম্যাচের কাঠি ধরাবেন।
* চুলা ক্ষতিগ্রস্ত হলে পরির্বতন করে ফেলুন।
* বৈদ্যুতিক লাইন ৬ মাস পরপর পরীক্ষা করুন।
* ভালোমানের বৈদ্যুতিক তার ও সরাঞ্জম ব্যবহার করুন।
* প্রয়োজনীয় সংখ্যক অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র মজুদ রাখুন।
* অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্রের প্রয়োগ ও ব্যবহার সম্পর্কে প্রশিক্ষণ নিন

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধবাগাতিপাড়া তকিনগর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধসিংড়ায় গোপনে খাবার পৌছে দেওয়ার প্রতিশুতি দিলেন মামুন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে