নাটোর আজ শনিবার ৮ জন করোনা আক্রান্ত, বেহাল দশা স্বাস্থ্য বিধির

0
798
নাটোর করোনা আপডেট
নাটোর কণ্ঠ : আজ শনিবার নাটোর জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৮ জন। এদের মধ্যে নাটোর সদর এলাকার ৩ জন, সিংড়ার ২ জন, গুরুদাশপুরের ২ জন ও বড়াইগ্রামের ১ জন। এনিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩৫ জনে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে খুব শিগগিরই রেড জোনের আওতায় আসতে পারে নাটোর জেলা। তারা আশঙ্কা করছে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ পক্ষ। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য দেয়া হচ্ছে তাগাদা। অথচ আজ শনিবার বাগাতিপাড়া হাসপাতালের এক কিলোমিটারের মধ্যে বসেছে গরুর হাট। নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। শত শত মানুষ গা ঘেষাঘেষি করে করছেন গরু বেচাকেনা। ৯৫ ভাগ মানুষের মুখে নেই মাস্ক। অথচ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি পক্ষ। ঘোষণা দেয়া হয়েছে নো মাস্ক নো সেল, ঘোষণার যদি এই হাল হয়। তাহলে সাধারণের আর কিছু বলবার থাকেন । দেখবার যেন কেউ নেই। এখানকার চিত্র দেখলে বোঝার উপায় নেই করোনাভাইরাস নামক একটি রোগ রয়েছে। তা নিয়ে চিন্তিত দেশ সমাজ ও এলাকা।
সচেতন সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, নমুনা প্রদান করার পরে হোম কোয়ারান্টাইন বাধ্যতামূলক হলেও অনেকেই হোম কোয়ারেন্টাইন মানছেন না। ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ দিকে এগোচ্ছে। নমুনা প্রদান করার পরে ১০ থেকে ১২ দিন পরে যখন নমুনা পজেটিভ আসছে তখন আর কিছুই করার থাকেনা। কারণ এরই মধ্যে সে ১০ -১২ দিন বাহিরে ঘুরে বেরিয়েছে কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই রাখেননি তারা। ফলে সংক্রমণ কোথায় গিয়ে ঠেকেছে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।
এ জন্য সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা আহ্বান জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন যার যার নিরাপত্তা নিজে নিজে নিশ্চিত করার চেষ্টা করুন, নইলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। এরই মধ্যে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জনগণের সেবক সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হচ্ছেন আক্রান্ত। নাটোরের বিভিন্ন বাজারগুলোতে জনগণের কেনাকাটা দেখে মনে হচ্ছে না কারোনার প্রভাব নাটোরে পড়েছে। ভাইরাসে আক্রান্ত অনেকেই নাটোরের বাজারে অবাধে কেনাকাটা করছে ফলে সংক্রমণ ঘটছে প্রতিনিয়ত। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সামনে জটলা করে ক্রেতারা দাঁড়িয়ে আছে । বিক্রেতা নিরাপত্তামূলক দূরত্বে থাকলেও তাদের দোকানের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না ক্রেতাসাধারণ মানছে না প্রশাসনের নির্দেশাবলী।
সচেতন সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, প্রশাসনিক কঠোর পদক্ষেপ বাঁচাতে পারে নাটোরের সাধারণ মানুষকে। এক্ষেত্রে আইন ও স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বাজার এলাকায় প্রয়োজনে লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। কেউ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হলেই কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, পুলিশের টিম নিয়মিত তদারকি করছে। তাদেরকে আমাদের পুলিশ সদস্যরা স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে অনুরোধ জানাচ্ছেন। এমনকি নিজের জীবন বাজী রেখে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। জেলায় অনেক পুরিশ সদস্য কাজ করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এজন্য জনগণকে সচেতন হতে হবে। করোনার মত ভয়ঙ্কর ব্যাধিকে মোকাবেরা করতে জন সচেতনাতার কোন বিকল্প নেই ।

জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ জানান, জনগণকে সচেতন করতে প্রতিদিন শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। তাদের সামাজিক দুরত্ব এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ন মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করার জন্য চালানো হয়েছে ভ্রাম্যশান আদালতের অভিযান। তিনি বলেন, করোনার মত বয়াবহ ব্যাধিকে নিয়ন্ত্রনে রাখতে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক নিরাপত্তা রক্ষার কোন বিকল্প নেই।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরের বাগাতিপাড়ার পাট চাষিদের মধ্যে সার বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধনাটোর এন এস সরকারি কলেজ থেকে গ্রেনেড উদ্ধার

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে