নাটোর শহর শোভাবর্ধন বিভিন্ন ফুলে

0
114
natore-kantho

নাটোর কন্ঠ : নাটোর শহরে টু-লেন সড়কের ডিভাইডারে, প্রশাসন এবং স্থানীয়দের উদ্যোগে নানারকম ফুল ও শোভাবর্ধন গাছ রোপন করা হয়েছে। অনেকেই আবার রোপন করেছেন লাল শাক, বেগুন সহ বিভিন্ন সবজি

নাটোরের সচেতন নাগরিকরা বলছেন, এই গাছগুলো একদিকে যেমন প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় কিঞ্চিত সহায়ক ভূমিকা পালন করছে, অপরদিকে শহরের শোভাবর্ধন সহ মানুষের মনে প্রফুল্লতা আনছে।

পথচারী মো. ইয়াসিন আলী বলেন, “নাটোরের হরিশপুর বাইপাস থেকে, বনবেলঘরিয়া বাইপাস পর্যন্ত, শহরের মধ্যে দিয়ে, অনেক আগেই নির্মাণ করা হয়েছে ডিভাইডার। তবে সেই ডিভাইডারে সরকারিভাবে বা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কোন গাছ রোপন করেননি।

ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু কিছু জায়গায়, বিশেষ করে চোখ পড়ে চকবৈদ্যনাথ চামড়া পট্টি এলাকায়। সেখানে দীর্ঘদিন যাবত ফুলের গাছ আমরা দেখতে পাচ্ছি। সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে ডিভাইডারে নানারকম ফুলের গাছ রোপণ করা হলেও অনেক স্থানেই গাছ রোপন করা হয় নাই।’’

পথচারী নিপেন্দ্রনাথ কর্মকার বলেন, “স্বাধীনতা চত্বর থেকে ভাটদ্বারা কালিবাড়ি পর্যন্,ত সম্প্রতি বেশ কিছু ফুলের গাছ রোপন করা হয়েছে। এই পথে চলাচলে চোখে পড়ে নানা রঙের ফুল। দেখে খুব ভালো লাগে।

তবে শহরের ভিতরে অনেক স্থান ফাঁকা রয়েছে, এই সমস্ত জায়গায় শোভাবর্ধনকারী নানা রঙের ফুল গাছ লাগানো দরকার। নাটোর শহর ও স্টেশন বাজার এলাকায় সড়ক ডিভাইডারে ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন।’’

natore kantho

উত্তর পটুয়াপাড়া, সরকারি গণ গ্রন্থাগারের পাশে, ডিভাইডারে বৃক্ষরোপণকারী, পরিবেশ প্রেমী, ফিরোজ আহমেদ বলেন, “সখের বসেই নিজের বাড়িতে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে, বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ, রোপন ও পরিচর্যা করি।

সম্প্রতি সড়কের ডিভাইডারে খালি জায়গা দেখে, সেখানেও বেশ কিছু ফুলের চারা রোপন করেছি। এবং পরিচর্যা করি। পরিবেশ প্রকৃতি উপকৃত হবে এটাই আমার সার্থকতা। এই কাজ মূলত নিজের আত্মতৃপ্তির জন্যই করি।

অ্যাডভোকেট চিন্ময় সরকার বলেন, “মানুষ স্বভাবগতভাবেই প্রকৃতি প্রেমী। গাছ এবং ফুল ভালোবাসে না পৃথিবীতে এমন মানুষ বিরল। ফুল মানুষের মনে প্রাণের সঞ্চার করে। প্রকৃতিতে ভরে যায় সুন্দর সুঘ্রাণ যা মানুষকে আকৃষ্ট করে।

আর সড়কের ডিভাইডারে যখন আমরা ফুল বা গাছ দেখি তখন অদ্ভুত এক অনুভূতি কাজ করে যা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। নাটোর সড়ক ডিভাইডারে যে সমস্ত জায়গা ফাঁকা আছে সেই সমস্ত স্থান, গাছ আর ফুলে ভরে যাক, এই আমার প্রত্যাশা।’’

ইউনিক প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তরুণ সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ বলেন, “ব্যক্তি উদ্যোগে সড়ক ডিভাইডারের অনেক স্থানে, ফুলের গাছ রোপণ করা হয়েছিল। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে, বিপুল পরিমাণ শোভাবর্ধনকারী ও ফুলের গাছ, রোপন করা হয়েছে। যে কাজটি মূলত, অনেক আগেই পৌর কর্তৃপক্ষ করা উচিত ছিল।”

জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে সড়ক ডিভাইডারে বিভিন্ন ফুল ও শোভাবর্ধনের গাছ রোপন করা হয়েছে। এবং নিয়মিত পরিচর্যা করা হচ্ছে। যে সমস্ত জায়গা ফাঁকা আছে, সেই সমস্ত স্হানে খুব দ্রুত আরো গাছ রোপন করা হবে।’’

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরে সড়ক দু.র্ঘ.ট.নায় মুক্তিযোদ্ধার মৃ.ত্যু
পরবর্তী নিবন্ধনাটোর-৪ আসনের নৌকার মাঝি হতে চান ব্যারিস্টার সুব্রত কুন্ডু

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে