নিঃশব্দেও শুন্যতা
মো: জিল্লুর রহমান প্রামানিক
কেউ কেউ আসে নি:শব্দে হারিয়ে যাবে বলে
হারিয়ে যায়ও
তবু জেগে থাকে নি:শ্বাসে-প্রশ্বাসে
আর লিপ্ত হয়ে পড়ে জীবন- যাতায়াতের
পরিপাশের্বর।
অভিমানই সব চেয়ে ভারী
অথচ দেখতে সে একটা নুড়ির চেয়েও ছোট
যেন বালির একটি কণা
অথবা চোখে পড়বার মতোও নয়
তবু বাসা বাঁধে চোখের মণিতে।
দূর কোনো মফ:স্বলে বাঁশঝাড় ভেদ করে
সরু একটা রাস্তা চলে যায় নক্ষত্রের গ্রামে
সেইপথে তার পায়ের পাতা
নানা তালে ও নানা লয়ে বিচরণ করতো
সামান্য রৌদ্রে,অসামান্য ছায়ায়।
একটা চৌকানো ভারী চশমার ফ্রেম
বড় একটা টিপের খুব কাছাকাছি
পাহাড়া দিতো দুটি চঞ্চল চোখ!
সবকিছু দৃশ্যের আড়ালে চলে যায়
কিন্তু ঢুকে পড়ে দৃশ্যান্তরে
চৈত্রমাসে সেখানেও ঝড়বৃষ্টি হয়
জাংলার খুঁটিতে ভাস্কর্যের মতো বসে থাকে কাক
আর দূরে
পুকুরের অন্যপাড়ে জেগে ওঠে শিশুদের স্বর।
নি:শেষে কিছু হারিয়ে যায়না।কিচ্ছু না!
হৃৎপিন্ড খনন-করা শুন্যতার অনুভুতি
অতিরিক্ত মিথ্যে মনে হয়।