ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে চাল কুমড়া কিনলো সিংড়া উপজেলা প্রশাসন

0
613

ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে চাল কুমড়া কিনলেন উপজেলা প্রশাসন

নাটোর কণ্ঠ: নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে চাষ হয় চাল কুমড়ার। মহামারী করোনা ভাইরাস দুর্যোগ কালীন সময়ে কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য দাম থেকে। তাই কৃষকদের ন্যায্য দাম নিশ্চিত সরাসরি কৃষক দের কাছ থেকে চাল কুমড়া কিনলো উপজেলা প্রশাসন। যা বিতরণ করা হবে দুস্থদের মাঝে ত্রাণ হিসেবে।
সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের কুমড়া চাষিরা জানান, বিস্তীর্ণ এলাকায় কুমড়া চাষ হওয়ায় এবং উৎপাদন ভাল হওয়ায়, করোনা কালীন সময়ে পাইকারি ব্যবসায়ী না আসায় ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন তারা। উপজেলা প্রশাসন তাদের কাছ থেকে কুমড়া কেনাই খুশি তারা। জেলার অন্যান্য উপজেলায় যদি এই কুমড়া এখান থেকে কিনে সরবরাহ করা হতো তাহলে আরো ভালো হতো বলে কৃষকরা জানান।
নাটোরের সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন আক্তার বানু জানান, কৃষকদের উৎপাদিত কুমড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয় চাল কুমড়ো কেনার। সরাসরি মাঠ থেকে কৃষকের কাছ থেকে প্রতিটি কুমড়া ১০ টাকা দরে ৬০০০ কুমড়া কেনা হয়েছে। এখন বর্তমানে নাটোরের বাজারে খুচরা কুমড়ার মূল্যই ১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে। কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে এবং তাদের বেঁধে দেওয়া দামি কুমড়া গুলো কেনা হয়। কুমড়ো গুলো সিংড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রীর সাথে বিতরণ করা হবে।
তিনি আরো জানান, প্রতি ইউনিয়ন ৪৫০ জন করে মোট ৫৪০০ জনকে দেয়া হচ্ছে ১০কেজি চাল,১ কেজি আলু,১/২ কেজি ছোলা আর ১ টা করে কুমড়া। এছাড়া অন্যান্য যারা আসছেন প্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা দেখতে তাদের মধ্যে একটি করে কুমড়ায় বিতরণ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ৬০০ টি কুমড়া এইভাবে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ জানান, আমরা তথা বর্তমান সরকার সবসময়ই  কৃষকদের বিষয়ে আন্তরিক। কৃষকরা যাতে কোনো ক্রমেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় আমরা সে ব্যাপারে সচেতন রয়েছি। ধান আম লিচু সহ অন্যান্য উৎপাদিত সামগ্রির যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখছি। আমাদের যা যা করণীয় সব করছি।
এদিকে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি চাল কুমড়া কেনায়, এবং কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের ভূমিকা কে সাধুবাদ জানিয়েছে সচেতন মহল। তারা বলেন স্থানীয় ত্রাণ সহায়তা সহ সরকারি বিভিন্ন কাজে লাগতে পারে এমন পণ্য কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কেনা হলে একদিকে যেমন তা কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবে অপরদিকে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হবে। প্রশংসিত হবে এমন কার্যক্রম।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় কাপড় ব্যবসায়ী নিহত
পরবর্তী নিবন্ধসিংড়ায় মোবাইলে লুডু জুয়া, বিপথগামী যুবসমাজ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে