“ফুটবল ও বাজে রেফারিং”- মাহবুব হোসেন

0
465
Mahabub

“ফুটবল ও বাজে রেফারিং”- মাহবুব হোসেন

কখনও কোন খেলোয়ার বা কর্মকর্তাদের সাথে কোন খেলা দেখতে যাওয়া হয়নি। আজ গিয়েছিলাম বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপের খেলা দেখতে পাবনা স্টেডিয়ামে। নাটোর জেলা দল আজ খেলেছে পাবনা জেলা দলের সাথে। কিন্তু বাফুফে থেকে প্রেরিত যে রেফারিগণ এসেছিলেন তারা মনে হয় পাবনা জেলা তাদের খালাতো ভাই হয়। রেফারিদের ফিটনেস তো নাই-ই আবার বারবার ভুল ডিসিশান দিয়ে খেলাকে জোগা খিচুরি বানিয়েছে।

বাংলাদেশের ফুটবল যখন তোলানী থেকে বের হওয়ার চেস্টা করছে, সেখানে জাতীয় মানের খেলায় এমন রেফারি খুবই দুঃখজনক। তাছাড়া ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা আন্তরিক এবং আতিথীয় পরায়ন হলেও, তাদের মাঠ বা গাউন্স ব্যবস্থাপনা ছিল দূ্র্বল। যার কারনে সাধারণ দর্শকরা গাউন্সের ভিতর এসে খেলোয়ারদের সাথে বাজে আচরণ করে। অথচ নাটোর মাঠে সাধারণ দর্শক তো দুরের কথা অনেকে খেলাচলাকালীন সময়ে আপনি ঢুকতে পারবেন না।

নির্দ্দিস্ট গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে পারেন তারা। অথচ গত ২২তারিখে পাবনা জেলা দল নাটোরে এসে স্বাগতিক দলকে ২-১ গোলে পরাজিত করে। সেখানে কোন দর্শক তো দুরের কথা কর্মকর্তারাও উচ্চবাচ্য করেনি। একটা দুদান্তপূর্ণ খেলা দেখেছে নাটোরবাসী। সে দিক থেকে নাটোরের দর্শকদের ধন্যবাদ দিতেই হয়।

তবে আজ পাবনা গিয়ে একটা কথাই বারবার মনে হয়েছে জেলা ক্রীড়া সংস্থা নাটোর কর্মকর্তা কতটা পরিশ্রম করে মাঠ খেলার জন্য উপযুক্ত করে রাখে। তারা খেলোয়ারদের জন্য কতটা কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য জোর দিয়ে বলতেই পারি, অনেক জেলাকে নাটোর ক্রীড়া সংস্থার কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। দয়া করে আপনারা অন্তত ঘুরার জন্য এসে মাঠের পরিবেশ দেখে যাবেন।

লেখক: সাংবাদিক মাছরাঙা টিভি ও সম্পাদক সজাগ নিউজ

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধ“এসো দেশ দেখি” ভ্রমন কাহিনী -লুৎফুন নাহার তিথি
পরবর্তী নিবন্ধ“শরীরপুরাণ “- সুবর্ণা গোস্বামী’র কবিতা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে