বাউল পথ
দেবাশীষ সরকার
রোবটিক সন্ধ্যায় বুড়ার চায়ের তিক্ততা কাটিয়ে সাদেক কাকার নির্মল হাসিটা এঁকে দেয়, একরাশ অবচেতনে অবয়বহীন সুগন্ধি ধোঁয়া।
সন্ত্রাসী পথ তখন উন্মুখ হয়ে থাকে গান জলসায়, মুঠো ভর্তী আগুন কি শান্ত হয়; মেকি বাউলতত্ত্বে? যৌনতার সাইরেন তবু বেজে চলে বারান্দা, ছাদ, কোরিডোরের মহাজগতিক স্তব্ধতা জুড়ে।
এ তল্লাটে মানুষ নেই! আছে মহামানবের কঙ্কাল, শুয়ে বসে নেচে কুদে ওরা গান গায়, শোনে, বাহবার উচ্ছ্বাস ঝড়ে পড়ে, কারো কারো নিমিলিত চোখ যখন বড় কষ্টে উঠে বসে মোবাইলের স্কিন ছেড়ে।
বাউলের ঝিমুনির ঘ্রান এ তল্লাটের উদ্যানে রেখে যায় তাঁর প্রতিবিম্ব, চারন ভুমিতে যদি কোন দিন দেখা হয়ে যায় কোন প্রলম্বিত সকালে।
উরন্ত গেরুয়ার আচলে দখলদ্বারিত্বের স্বাদ, আর পাহাড়টা দোল খায় আকাশে।
আবেগকম্পিত রাত্রীময় শুভ্রতা, আজ নির্জনতার বন্যায় ভেসে যাচ্ছে ভরা পূর্ণিমার উচ্ছ্বাস, শব্দবিহীন চিৎকারে অবয়বহীন তোমার সুগন্ধি বিষাদ, রঙের আলপনায় আঁকে কার ছবি?
অলস লোকালয়ে তোমার নিশ্বাসের বীষ বাস্প থেকে উৎসারিত বজ্র নিনাদভরা উত্তাপ, এই পুর্নিমায় ফিরিয়ে আনবে কি ফাগুন?
নৈশব্দের ঝর্নায় আমি বরফ উত্তাপে আগুন ফেরি করে ফিরবো, বাবলা ফুলের হলুদ রঙ মেখে কোন কোন সন্ধ্যায় হয়তো নাচবো উদ্দাম নৃত্য….