ভূমি রেকর্ড, স্বত্ব, মালিকানা, খতিয়ান সংশোধন -আব্দুল খালেক

0
882
www.natorekantho.com

আব্দুল খালেক : রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ এর ১৪৩ এর বি ও সি ধারা মতে ভূমির রেকর্ড, স্বত্ব, মালিকানা, খতিয়ান সংশোধন দুই ভাবে সংঘটিত হয়।

এক. কোন মালিকের মৃত্যুতে তার ওয়ারিশ বা ওয়ারিশগন উত্তরাধিকার সুত্রে বা বাটোয়ারা দলিলমূলে।

দুই. ২০০৪ সনের রেজিস্ট্রেশন এ্যাক্ট মোতাবেক ক্রয়কৃত ভূমি এসি ল্যান্ড এর নিকট আবেদনের প্রেক্ষিতে সহঅংশদারদের একটি সময় ধার্য করে যথাযথ নোটিশ জারীর মাধ্যমে শুনানী গ্রহন করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপত্তি পাওয়া না গেলে খতিয়ার সংশোধন করে সংশোধিত খতিয়ানের জমির শ্রেণী ভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর নির্ধারণ করে আদায় করেন। সহঅংশদার আপত্তি দাখিল করলে পুনরায় তারিখ ধার্য করে শুনানী অন্তে বিধিগত ও সঠিকভাবে নামজারী করেন।

আইনের ১৪৪ ধারা মতে সরকার যদি কোন ক্ষেত্রে উপযুক্ত মনে করেন তবে সরকার কোন জেলা, জেলার অংশ বিশেষ অথবা স্থানীয় এলাকার স্বত্ব প্রণয়ন বা পূন:পরীক্ষন এর আদেশ দিয়ে থাকেন। স্বত্ব লিপি প্রণয়ন মূলত: হালনাগাদ জমির মালিকানা নির্ধারণ ও তদমোতাবেক ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করে মালিকা হালনগাদ রাখা।

আইনের বর্নিত ধারায় রেকর্ড প্রস্তুত হলে উক্ত রেকর্ডের ভুল সংশোধনের জন্য তা ৫৪ ধারা মোতাবেক দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার। দেওয়ানী আদালত বা বিজ্ঞ বিশেষ জজ কর্তৃক উপযুক্ত সাক্ষ্য প্রমান দ্বারা যতক্ষন পর্যন্ত ভুল সংশোধন না হবে ততক্ষন প্রস্তুতকৃত রেকর্ড বা স্বত্বলিপি সঠিক বলে গণ্য হবে।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রায় ৩০ বছর পুর্বে আরএস রেকর্ড প্রস্তুত ও প্রকাশের কাজ শেষ হয়েছে। নদী এলাকার হাজার হাজার একর জমি পয়স্তি হওয়ার পর পুর্ববর্তী মালিক বা মালিকের ওয়ারিশগণ সেখানে বসতি স্থাপন করে নির্বিঘ্নে ফসলাদি উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে এবং আরএস রেকর্ড নিরঙ্কুসভাবে তাদের নামে প্রকাশিত হয়েছে।

অতীতে নদী সিকস্তির অজুহাতে সরকার ঐ সকল জমির প্রায় ৩০ বছর ভূমি উন্নয়ন কর ধার্য করে আদায় করছেনা। এতে সরকারের যেমন রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে তেমনি এ সব ভূমি নিয়ে মালিকেরা ভূমি উন্নয়ন কর না দিতে পারায় মালিকেরা ঝুলন্ত অবস্থায় থাকায় জমি বিক্রি করে ছেলে মেয়েদের লেখা পড়া বা অন্য কাজ করার জন্য নিজ জমি বিক্রি করতে পারছেনা।

এতে ঐ সকল প্রজা দেশের উন্নয়নের সাথে সংযুক্ত হতে পারছেনা। আইন ও বিধি মোতাবেক প্রজাদের রেকর্ডকৃত জমির সুরাহা করে দেশের লক্ষ লক্ষ প্রজাকে বর্তমান দেশের উন্নয়নের অংশদারিত্বের সুযোগ দেয়ার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Advertisement
পূর্ববর্তী নিবন্ধ“রাত হওয়ার অপেক্ষায়” কবি সুপ্তি জামান‘এর কবিতা
পরবর্তী নিবন্ধ১৪ ফেব্রুয়ারি। স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস।-জাকির তালুকদার

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে