মুর্শিদাবাদ ভ্রমণের ইতিবৃত্ত -বেনুবর্ণা অধিকারী -১ম অধ্যায়

0
733
বেণুবর্ণা অধিকারী

বেনুবর্ণা অধিকারী : আমি আর Hosneara Hosne Ara ম্যাডাম প্ল্যান করলাম এইবারের ভারতভ্রমনে আমরা ২টা জায়গা দেখবো। মুর্শিদাবাদ আর শান্তিনিকেতন। আগেরদিন কলকাতার বন্ধুদাদা Pradip Sengupta কে ফোন করে জেনে নিলাম কিভাবে যাব। দাদা তার এক বন্ধুকে ফোন করে সেখানে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেন। আমরা ২১ জানুয়ারী ২০১৩ সকালে নাস্তা করে কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে বাসে রওনা দিলাম।

বেণুবর্ণা অধিকারী

বাসের অবস্থা তেমন ভাল নয়, তবুও অজানাকে জানার জন্য অনেক কষ্টকেই স্বীকার করতে হয়। যদিও প্রথমে সুন্দর একটা বাস দেখে আমরা ভেবেছি এটাই মুর্শিদাবাদের বাস। উঠে পড়েছিলাম সেটায়, কিছুদূর যাবার পর টিকেটের টাকা চাইতে আসায় আমরা বললাম মুর্র্শিদাবাদ যাব, তখন সেই আমাদের নামিয়ে বললো অমুক বাসে যাবেন, ভাড়া নেয়নি আর।

বেণুবর্ণা অধিকারী

আবার ব্যাক করে আমরা পরে মুর্শিদাবাদের বাসে উঠলাম, এতে সময় অনেকটা পেরিয়ে গেল। যাবার পথে বাস মধ্যে রানাঘাটে প্রায় ১ ঘন্টা দাঁড়িয়ে ফুল এবং অনেক পণ্য ওঠায়। সেখানের সরপুরিয়া বিখ্যাত শুনেছিলাম তাই এই সুযোগে আমরা রুটির সাথে খেয়ে নিলাম।

বেণুবর্ণা অধিকারী

মুর্শিদাবাদ পৌঁছানোর পর দাদার বন্ধুর গাড়িতেই আমাদের হোটেলে পৌছে দিলেন। রুমে জিনিষপত্র রেখে আশেপাশে ঘুরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুম দিলাম। পরেরদিন ২২ তারিখে আমরা বেরুলাম ঐতিহাসিক স্থাপনা দেখতে। প্রথমে একটা অটোতে আমরা কিছুটা পথ গেলাম। সেখানে নেমে একটা ঘোড়াগাড়ি বুক করলাম কয়েকটা জায়গা দেখাবে সে।

বেণুবর্ণা অধিকারী

এটা অবশ্য সেখানে দাঁড়ানো এক ভদ্রলোক ছিল সেই সহযোগীতা করলো, পরে মনে হলো সে আসলে গাইড। যাক আমরা প্রথমে গেলাম কাটরা মসজিদ দেখতে। জানা যায়, ঢাকা থেকে ১৭১৭ সালে রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তরিত করেন নবাব মুর্শিদকুলি খাঁন। তার নামানুসারে নতুন রাজধানীর নাম হয় মুর্শিদাবাদ। কাটরা মসজিদ মুর্শিদাবাদ রেল স্টেশনের ১৬০০ মিটার পূর্ব দিকে বাজারের মধ্যে অবস্থিত।

বেণুবর্ণা অধিকারী

কাটরা মানে বাজার। নবাব মুর্শিদকুলি খাঁনের ইচ্ছা অনুযায়ী বাজারের মধ্যে নির্মাণ করা হয় মসজিদ। কাটরা মসজিদটি নতুন রাজধানীর জামে মসজিদ হিসেবে নির্মিত হয়। দ্বিতীয় শিলালিপিতে নির্মাণকাল উৎকীর্ণ আছে ১১৩৭ হিজরি (১৭২৪-২৫ খ্রি.)। বৃদ্ধাবস্থায় নবাব মুর্শিদকুলি খাঁন তার কবর একটি মসজিদের পাশে হোক ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি মসজিদটি নির্মাণের দায়িত্ব দেন বিশ্বস্ত কারিগর মুরাদ ফরাস খাঁনের উপর।

ক্রমশঃ

Advertisement
উৎসবেণুবর্ণা অধিকারী
পূর্ববর্তী নিবন্ধনাটোরের বাগাতিপাড়া জামনগর বাজার খোলা জায়গায় স্থানান্তর
পরবর্তী নিবন্ধনাটোরে কর্মহীন মানুষের মধ্যে এমপি শিমুলের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে