লুপ্ত ফুলের আঘ্রাণ
কবি জিল্লুর রহমান
তুমি যদি মানুষের কথা না বলো
তুমি কেউ নও
নিসর্গের প্রেক্ষাপটে মানুষকে দেখ।
তার বিবর্তন লক্ষ করো।
কিভাবে সে মাথা উঁচু করছে
কী ভাবে সে চকমকি ঠুকছে,পশু তাড়াচ্ছে,
শিকার ধরছে বাঁচবার প্রয়োজনে।
দেখো,চাকা তাকে কোথা থেকে
কোথায় নিয়ে যাচ্ছে
দেয়ালে সে ছবি আঁকছে।হাতে হাত রেখে
বৃত্তাবদ্ধ হয়ে নাচছে।মাঝখানে লাফিয়ে উঠছে
আগুনের শিখা। চারপাশে কালো কালো ছায়া
প্রেতের মতো লাফাচ্ছে।
মানুষ
কান পেতে নদীর কথা শুনছে,
পাখির গান
ভাবছে নদী কোথায় যাবে।
পাখির মতো উড়তে হবে তাকে।
সে জলে নেমে যাচ্ছে
মাছের মতো সাঁতার কাটছে।
মহাজন ও ব্রাত্য।
গামছায় মুড়ি ও পাটিলি গুড়।
হাতুড়ি বাটাল,খুন্তি,লাঙল ও ষাড়।
আর এই দেখ মানুষের সমাজ।
এই দেখ মানুষের দ্বন্দ্ব ও প্রেম।
শিউলি ফুলের পাপড়িতে শিশিরের শরীর।
ক্ষিপ্ত মোষের মতো মানুষের ক্রোধ।
নিশ্বাস- প্রশ্বাসে লাভা।
দেখো শান্তি,দেখ ক্লান্তি দেখো বর্ণ,
দেখো পূর্ণিমা চাঁদের তলে মেঘের সংসার।
তার তলে গুপ্ত হত্যা
লুপ্ত ফুলের আঘ্রাণ।
দেখো সংঘ পাখির মতো ঠিকানাহীনতা।
তুমি যদি এই মানুষের কথা না ভাবো
তবে তুমি মানুষ নও।