সম্মানিত নাটোর জেলাবাসী: কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে সম্পত্তি কিনুন, মামলা নয়!- এসিল্যান্ডের খোলা চিঠি
প্রিয় জনগণ,
আপনারা সম্পত্তি কেনার আগে দয়া করে আপনার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে “রেজিস্ট্রার ২” দেখে উক্ত জমির প্রকৃত মালিক সম্পর্কিত তথ্য জেনে নিন। তাহলে কেউ ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে আপনাকে ঠকাতে পারবে না। লক্ষ টাকা বিনিয়োগের আগে কষ্ট করে একবার আপনার ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘুরে আসুন। কারন আপনি টাকা দিয়ে জমি কিনবেন, ঝামেলা নয়।
আর জমি কেনার আগে অবশ্যই জমির উপর একবার হলেও দিনের বেলা সরেজমিন গিয়ে দাঁড়াবেন, তাহলে এলাকার লোকজনই জানিয়ে দিবে ঐ জমিতে মামলা আছে কিনা, আর শরিকানা ঝামেলা থাকলে কথাই নেই, আপনি মুহুর্তে জমির বাস্তব চিত্র পেয়ে যাবেন!!
মনে রাখবেন, যে জমিতে যত ঝামেলা সে জমি তত দ্রুত আর গোপনে বিক্রির চেষ্টা করা হয়। বিক্রেতা বলবে, আপনি আমার কাছের মানুষ তাই আপনাকেই বলছি, আপনার কাছেই বিক্রি করতে চাই, অন্য কাউকে জানাবেন না-আসলে ঘটনা ভিন্ন, জমিতে মামলা বা তার দখল নেই অথবা তার বাবা ৩০ বছর আগেই জমি বিক্রি করে গত হয়েছেন!!
আর যিনি জমিজমাকে ঝামেলা ভেবে সকল দলিলপত্রাদি বাসায় বস্তাবন্দী করে রেখেছেন- খুলতে ভয় পান, দয়া করে বুধবার কর্মদিবসে সকাল ১০.০০ হতে ১.০০ এর মধ্যে ঐ বস্তা আমার কাছে নিয়ে আসুন (উপজেলা ভুমি অফিস), আপনাকে আমরা অন্তত একটি ভালো পরামর্শ দিতে পারব।
জেনে রাখুন, আমি আপনাদের জন্য। সেবা নেয়া আপনার অধিকার। দয়া করে আপনার পাশের অশিক্ষিত বা কম শিক্ষিত লোককে তথ্যটি দিতে ভুলবেন না।
নিবেদক
মোঃ আবু রাসেল,
সহকারী কমিশনার (ভূমি),
গুরুদাসপুর, নাটোর।