সন্দীপ কুমার, গুরুদাসপুর:
নাটোরের গুরুদাসপুরে পুকুর খনন কারী মালিকদের যন্ত্রপাতি ভেকুসহ যাবতী মেশিনারীজ একাই তছনছ করে ফেললেন স্থানীয় সাংসদ অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। রোববার (২৬ এপ্রিল) সকালে বের হয়ে দিন ব্যপি উপজেলার, ধারাবারিষা ৪টি, বিয়াঘাট ১০টি, চাপিলা ২টিসহ মোট ১৬টি পুকুর খনন বন্ধ করা হয়েছে।
এ সময় পুকুর কাটার ভেকু, ট্রাকসহ যাবতীয় যন্ত্রপাতি দাঁড়িয়ে থেকে ধ্বংস করান এমপি স্বয়ং। বাঁকি গুলো থানায় নিয়ে আসার জন্য গুরুদাসপুর থানা পুলিশকে নির্দেশ জানান। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত কিছু দিন যাবত এক শ্রেণির স্বার্থনেশী মহল সুযোগ বুঝে পুকুর খননকে কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছিলেন লক্ষ লক্ষ টাকা। ‘জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না’ এমন সরকারি নির্দেশনা থাকলেও নাটোরের গুরুদাসপুরে তিন ফসলি কৃষি জমিগুলোকে টুকরো টুকরো করে কেটে খনন করা হচ্ছিল পুকুর। এমন খবর কিছু সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হলে তা স্থানীয় সাংসদের নজরে আসে। তা দেখে তিনি বৈশ্বিক সমস্যা করোনাসহ শত ব্যস্তার মাঝেও নেমে পড়েন পুকুর খনন বন্ধের মিশনে। মিশনের প্রথম দিনেই সবাইকে তাকলাগিয়ে উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ১৬টি পুকুর খনন বন্ধ করে দেন। সেই সাথে পুকুর খননের যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
নাটোর জেলা আ.লীগের সভাপতি স্থানীয় সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, প্রসাশনের চোখে ধুলি দিয়ে পুকুর খনন চলছেই। তাই বাধ্য হয়ে তিনি নিজেই পুকুর খনন বন্ধে মাঠে নেমেছেন। অভিযানের সময় ভেকুর পাইপ, ব্যাটারিসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ খুলে নেওয়া হয়। যাতে পুকুর খনন না করতে পারে। এছাড়া দুইটি মাটির ট্রাক ও একটি ভেকু জব্দ করা হয়েছে। পুুর খনন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তার এই অভিযান অব্যহত থাকবে