হরণ
কবি সুপ্তি জামান
দেখি এক নবীন কবি
বয়সেও তরুন
ভাল-মন্দ মিলিয়ে খারাপ লেখে না।
পসারও পেয়ে যাচ্ছে তরতরিয়ে
তার আইডিতে ঢুকে পড়তে লাগলাম কবিতা
দু একটি শেষ হলো কেবল
এরপরই দেখি
তিনি নারীর ব্লাউজ খুলছেন
স্তনের বর্ণনা দিচ্ছেন পাইকারি দরে
নারীর স্তন, জঙ্গা, উরু, নাভী, নাভীমূল
কেউ কেউ তো আরো সাহসী
দুর্বিনীত সাহসে ছাড়িয়ে যান
কালিদাস, রবীন্দ্রনাথ, এমনকি শামসুর রাহমানকে
কবিতার পংক্তিতে পংক্তিতে
উপমায় বাদ যায় না নারীর জননাঙ্গও
আলোচিত কবি হওয়ার মোক্ষম সিঁড়ি
নারীর শরীরের বিচিত্র বর্ণনা!
যেন নারীর শরীরকে
ভাগা দিয়ে বেঁচবে মাছের বাজারে,
যেন বস্র হরণেই অপার আনন্দ!
নারীর চুল, নখ, বিভাজিকা, গলদেশ, কপোল,
কপাল, ওষ্ঠ এসবে ঠিক এখন আর যেন জমে না।
এদের আর দোষ দেব কি।
নারীর শরীরের ভাঁজে ভাঁজে কবিতা থাকে না
থাকে স্বেদ, থাকে বেদনা,
থাকে অমর্যাদা আর অসম্মানের দুঃখগাথা।
কবিরাও পিছিয়ে থাকেনি কোন কালে
না পুরকালে, না এ যুগে।
নারী কবি করে না পুরুষের বস্র নিয়ে টানাটানি
কবিতায় সে কবিতার কথা বলে
হয়তো তাই নারী কবি হয়ে ওঠে না প্রধান কবি।