আড্ডার প্রান্তরে
আসাদজামান
হাড়ভাঙা খাটুনির পরে, যে আমি ঘুমিয়ে
পড়ি নিভিয়ে দিয়ে বাতি। ঢুকে যাই নিশ্চিন্তে
ঘুমের রাজ্যে। সেই আমাকে কবি বলে লোকে।
পড়ে থাকে কালি ও কলম। আড্ডার প্রান্তরে
মুখ লুকিয়ে থাকে শব্দেরা। জীবিত কঙ্কালে
লেখি প্রেমের কবিতা। কলমিলতার মত আমার
এ তনু মন ভেসে ভেসে যায় ; কবিতায়।
ঘুম ঘুম চোখে আমাকে চিনে নেয় ঘুম, চিনে নেয় স্বপ্নেরা। বাদাই জালের মত ছেঁকে ছেঁকে তোলে
হাড়ভাঙা খাটুনির পরে যে আমি ঘুমিয়ে পড়ি;
জলের ভাঁজে ভাঁজে জমা শ্যাঁওলার মত বিশদ
ক্লান্তির ছায়া । ছাইভষ্ম হয়ে উড়ি, উড়াই দিনমান
বছর শেষে আবার সে একই দেহ ; খামাখা পড়ে
থাকে ক্লান্তি ও ক্লেশে। দোমনা আমি পাখির ডানায় করে ভর ক্ষণে ক্ষণে নেই জীবনের খবর।
যদিও সাঁতারে অস্থির নই। হাঁটু জল আমাকে
বিচলিত করে। অন্ধের মত হাতড়াতে হাতড়াতে
ফিরে পাই তল। কলসি শুধু জল ধারণ করে মাত্র
সে জলে তৃষ্ণা মেটেনা তার । কলসি আসলে বিষন্ন জলাধার।
পার করে কঠিন সময় মৃত্যুর আলিঙ্গন
শুদ্ধতম পাপ খুইয়ে তারপর.. বেঁচে থাকে জীবন।