পাহাড়-নদী
কবি বনশ্রী বড়ুয়া
দখিণের বারান্দায় দাঁড়ালেই
গায়ে কাঁপুনি দেয়া শিরশির করা হাওয়ারা
এলোমেলো করে দেয় ক্রন্দনরত মরা নদীটাকে;
নদীটা ভালবেসে ছিল কড়কড়ে অই পাহাড়টাকে,
নিছক সাবান স্নো’র বিজ্ঞাপন ভেবে-
পাতা উল্টিয়ে ফেলল রাশভারী পাহাড়টা।
নরম নদীর জলের নিমন্ত্রন উপেক্ষা করেছিল পাহাড়,
যদিও চুপিচুপি পাহাড়ের সীমানা প্রাচীর টপকে
ঢুকে পড়েছিল নদীর কলকল ধ্বনির
হালকা রঙের কিছু আমেজ।
পাহাড়ের গায়ে কয়েক মূহুর্তেই লেগেছিল ঠান্ডার
কিছু এলোমেলো জবুথবু অভিমান।
নদীর নিছক ছেলেমানুষী আর খামখেয়ালিপনা
বেশ উপভোগ্য মনে হত পাহাড়ের কাছে,
এক বিষন্ন ভোরে নদীর বাঁ গালে টুপ করে;
ঝরে পড়ে শিশির,
হঠাৎ আলতো করে ছুঁই পাহাড়।
নিমিষেই সাদা আস্তিনে আটকে থাকা
ভুলের মোড়কটা আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরে পাহাড়কে,
পাহাড় জেনে যায় নদীর ভাঁজে ভাঁজে
ইতিহাসের পবিত্র দলিল,
যা কিনা শুধু পাহাড়ের কাছে নত হয়।
পাহাড়ের অকারণ মন খারাপের মেঘ আসে,
অস্থির স্নায়ুতে জাগে নদীর মাতাল অভিলাষ!
বড্ড অভিমানে মরা নদীটি আর ফেরে না
কড়কড়ে শুকনো পাহাড়ের কাছে।
শ্রী….