আজন্ম জন্মজখম
কবি মৌ সাহা
হয়তো আর কোনদিন
ফেরা হবেনা সেই একই গন্তব্যে,
নাইবা হলো-
অভিমানের সুরে দৃষ্টির আদান প্রদান-
সেই গাছ,ফুল,ঝাউ,
দেবদারু সবইতো আছে ঠিক জায়গায়।
ধ্রুপদী নিরবতাই না হয় আজ ভেসে যায়।
তুমি আমাকে চেয়েছিলে?
নাকি আমার চাওয়াতেই ছিলে?
সেসব না হয় পড়েথাক
অতীতের ধূলোমাখা ডাকবাক্সে।
সাঁঝবাতি জ্বলুক,
সন্ধ্যা নামুক চাঁদ আসুক দূর আকাশে।
জোনাকি রাতের
নিস্তব্ধতা তবু আঁধার চারিপাশে-
দিন বদলের দোলাচলে
অতীত গেছে মুছে।
অচেনা বলাকারা এসে
ভীড়করে জানালার গ্রিল ঘেষে।
আগ্নেয়গিরি অগ্নুৎপাতের উত্তাপে
ঝলসে গেছে হলুদ বসন্ত-
অপেক্ষাহীন দিনগুলো যেন
মনে হয় শত সহস্রাব্দ!
রঙহীন কৃষ্ণচূড়ার ডাল
আঁকড়ে ধরেছে জংলী প্রজাপতি;
বারবেলায় মলিনতায়
চুপসেছে খোঁপার দোপাটি;
এক জীবনের আদ্যপ্রান্ত জুড়ে
অন্তহীন জন্মজখম –
সময় গিলে খেয়েছে
ফুসফুস আর রক্তনালী।
দুঃখের শ্লোকে সাজিয়েছি
জীবনের মৌলিক কাহিনী।
আফিমের মাদকতা মত
অম্লান হোক সমস্ত জীবনী।