গুরুদাসপুর, নাটোর কণ্ঠ: আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু ও তার পিএস নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বর্তমানে গ্রেফতার এড়াতে তিনি পলাতক রয়েছেন বলে শুক্রবার রাতে পুলিশ জানায়।
তবে চন্দ্রপুর বীরবাজার এলাকা থেকে মামলার দ্বিতীয় আসামি চেয়ারম্যানের পিএস নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার নুরুল ইসলাম (৩০) নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার চন্দ্রপুর মাঝপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। এ মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু পলাতক।
গুরুদাসপুর থানার ওসি আবদুল রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চেয়ারম্যান লাবুসহ নুরুল ইসলামের নামে প্রতারণা মামলা হয়েছে। নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে চেয়ারম্যান লাবু পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে এ ধরনের আরও অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য নাটোর গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু ও তার ব্যক্তিগত (পিএস) নুরুল ইসলাম আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাধীন সরকারি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেশকিছু ভূমি ও গৃহহীন দিনমজুরদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহহীন দিনমজুর মো. জালাল উদ্দিন গত ১২ নভেম্বর গুরুদাসপুর থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতাধীন ঘর করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু ও তার ব্যক্তিগত (পিএস) নুরুল ইসলাম।
একটু আশ্রয় পাওয়ার আশায় নিরুপায় হয়ে চন্দ্রপুর মাঝপাড়া (লক্ষীপুর) এলাকার দিনমজুর মো. জালালউদ্দিন ৫০ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করেন।
গৃহহীন জালাল তার এক আত্মীয়র কাছ থেকে ওই ৫০ হাজার টাকা ঋণ করে চেয়ারম্যানের পিএসের হাতে তুলে দেন।
এ মামলা ছাড়াও ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনে থানায় আরও তিনটি অভিযোগ করা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
অপর দিকে নাটোর আদালতে আরও একটি চাঁদাবাজি মামলা হয়েছে চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবুর বিরুদ্ধে। যা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তধীন।
শনিবার সকালে এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান লাবুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে তার ইমেজ ক্ষুন্ন করতে একটি মহলের ষড়যন্ত্রে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। তদন্ত করলেই সব বেরিয়ে আসবে। মামলায় জাবিন নিয়ে এলাকায় ফিরে আসবেন।